চার ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। জোড়া ফিফটিতে এ দুই ব্যাটার গড়ে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। এরপর সে ভিতে ইমারত তৈরি করেন তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা এনামুল হক বিজয় ও এক সিরিজ পর বিশ্রাম থেকে ফেরা মুশফিকুর রহিম। এ দুই ব্যাটারও করেন হাফসেঞ্চুরি। তাতে জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে টাইগাররা।

শুক্রবার হারারের স্পোর্টস পার্কে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান করেছে টাইগাররা।

পুঁজিটা অবশ্য আরও বড় হতে পারতো। শেষ তিন ওভারে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে স্বাগতিকরা। এ সময়ে বাউন্ডারি আসে মাত্র দুইটি। শেষ ২২ বলে মাত্র ২৪ রান করতে সমর্থ হয় টাইগাররা। অথচ উইকেট তখনও ছিল ৮টি। উইকেটে ছিলেন সেট ব্যাটার মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। তবে শেষ ১০ ওভারে আসে ৯০ রান। 

এদিন ইনিংসের শুরু থেকেই দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকেন অধিনায়ক তামিম ও লিটন। দলকে দারুণ সূচনা এনে দুই জনই তুলে নেন কাঙ্ক্ষিত ফিফটি। তবে এরপর তামিম খুব বেশিক্ষণ টিকতে না পারলেও আরেক ওপেনার লিটন খেলে যাচ্ছিলেন সাবলীলভাবেই। কিন্তু পেশির টানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। তবে লিটনকে হারানোর ধাক্কাটা খুব বড় হতে দেননি এনামুল ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিক।

তামিমকে নিয়ে ওপেনিংয়ে ১১৯ রানের জুটি গড়েন লিটন। তামিমের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। মূলত ফিফটি তুলে নেওয়ার রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তামিম। সিকান্দার রাজার বলে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ চলে যায় ইনোসেন্ট কাইয়ার হাতে। ৮৮ বলে ৯টি চারের সাহায্যে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন তামিম।

এরপর ব্যাট হাতে কিছুটা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা চালান লিটন। ফিফটি করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার এক ওভারে মারেন তিনটি বাউন্ডারি। কিন্তু দলীয় ১৭১ রানে মাঠ ছাড়তে হয় লিটনকে। আউট হয়ে নয়, পেশির টানে। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে দ্রুত ছুটেছিলেন তিনি। শেষ দিকে খোঁড়াতে থাকেন। এরপর মাঠেই পড়ে যান। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৮৯ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮১ রান করে অপরাজিত থাকেন লিটন।

এরপর এনামুলের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মুশফিক। এ দুই ব্যাটার রানের গতি বাড়াতে থাকেন দ্রুত গতিতেই। দীর্ঘদিন পর প্রিয় সংস্করণে ফেরার ম্যাচে ফিফটি তুলে নেন এনামুল। হাফসেঞ্চুরি আবার পূরণ করেন ছক্কা মেরেই। এরপর স্লগ ওভারে রান বাড়ানোর তাড়ায় আগ্রাসী ব্যাট চালাতে থাকেন। তবে ভিক্টর নাইউচির বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন লংঅনে। ৬২ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন এনামুল। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।

এনামুলের বিদায়ের পর মাঠে নামেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের প্রথম দুই বলেই দুটি বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন। এরপর মেরেছেন আরও একটি। অপর প্রান্তে মুশফিকও চেষ্টা করেন রানের গতি বাড়াতে। তুলে নেন নিজের হাফসেঞ্চুরিও। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৫২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মুশফিক। ২০ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে।

Comments

The Daily Star  | English

NCP unveils 24-point ‘New Bangladesh’ manifesto, calls for Second Republic and new constitution

Key pledges include recognising the July uprising and ensuring justice for those affected

15m ago