গৃহকর্মীরা ‘দাস’ নয়, নিরাপদ কর্মক্ষেত্র পাওয়া তাদের অধিকার

সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেফহোমে আশ্রয় নেওয়া গৃহকর্মীদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের দায়ে চাকরি চলে গেছে উপসচিব মো. মেহেদী হাসানের। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তা মারাত্মক। রিয়াদ দূতাবাসে কাউন্সেলরের দায়িত্বে থাকার সময় বেশ কয়েকজন গৃহকর্মীকে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করেন তিনি। ভয়াবহ এই অপরাধ করার দায়ে প্রশাসন চাকরি থেকে বরখাস্তের গুরুদণ্ড দিয়েছে তাকে।

একজন রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন মানুষের মনে প্রতিষ্ঠানের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়। ঠিক যেমনটি হয়েছে 'সেফ হোম' বা 'নিরাপদ আবাস' শব্দটির প্রতি। শুধু চাকরি থেকে বরখাস্ত করলে তো তার যথার্থ বিচার হলো না। প্রশাসনিক শাস্তির বাইরে গিয়ে তাকে ধর্ষণের জন্য শাস্তি দেয়া উচিত। অসহায় মেয়েদের আশ্রয় দেয়ার নামে তিনি তাদের ধর্ষণ করেছেন। এর মাধ্যমে কূটনৈতিক পাড়ায় দেশের সম্মানও সাংঘাতিকভাবে ভূলুন্ঠিত হয়েছে। সরকারের বা অভিবাসন নিয়ে কর্মরত সংগঠনগুলোর উচিত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা ঠুকে দেয়া।

বাংলাদেশি গৃহকর্মীদের অনেকেই সৌদি আরবে নিয়োগদাতাদের নির্যাতনের শিকার। সেই কারণে সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে নারী কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন অনেকেই। অভিবাসন নিয়ে কর্মরত বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশি নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে সে দেশে পাঠানোর বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন। সরকার ও বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা অবশ্য বলেছে যে তারা বিষয়টি দেখবেন ও সাবধান থাকবেন। কিন্তু এখন কী বলবেন তারা? একবার একটি জায়গায় যদি এরকম ভয়াবহ অন্যায় ঘটে, তখন সবক্ষেত্রেই অবিশ্বাস তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বাস্তবতা থেকে মনে করার কোনো কারণ নেই যে মানুষ উচ্চপদে আসীন হলে, ধনী বা শিক্ষিত হলে বা কারো তারকা খ্যাতি থাকলেই, সে তার অধীনস্ত মানুষের সাথে ভালো আচরণ করবেন। শুধু সৌদিতে, লেবাননে বা অন্য কোনো দেশে নয়, বাংলাদেশেও সামান্য অপরাধে গৃহকর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা, নির্যাতন করা, চড়-থাপ্পর মারা, খেতে না দেয়ার মতো অপরাধগুলো করা হয়। আর সবচাইতে বেশি যা করা হয়, তা হলো যৌন নিপীড়ন। বহু প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষিত পরিবারে অল্পবয়স্ক গৃহকর্মীকে একধরনের 'সেবাদাসী' বানানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকি এই ধরনের কেসে গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রায় ঘটে।

দু'মুঠো ভাত, বছরে ২/৪ টা কাপড়, সস্তা পাউডার, চুড়ি, মালা, কানের দুল ব্যস এইতো চাহিদা মানুষগুলোর। মাস শেষে যতটুকু টাকা পায়, সেই টাকা গ্রামে পাঠিয়ে দেয় বাবা-মায়ের বা স্বামী-সন্তানের পেট চালানোর জন্য। নিজেদের সঞ্চয় বলতে কিছু থাকে না। যেখানে কাজ করতে আসছে সেখানেও তারা না পায় ঠিকমতো বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া, সেবা, ভালোবাসা এবং সম্মান। মোট কথা আমাদের দেশের অধিকাংশ গৃহকর্মী এইভাবেই শহরে কাজ করে যাচ্ছেন।

হ্যাঁ এদের মধ্যে কেউ কেউ সবধরনেরই সুবিধা বা কিছু কিছু সুবিধা পেয়ে ভালো আছেন, কিন্তু সেটা কয়জন? যখন কোনো মানুষ অন্যের বাড়িতে 'গৃহশ্রমিক' হিসেবে কাজ করেন, তখন তার মর্যাদা আমাদের সমাজে প্রায় নাই বললেই চলে। এরপরেও শুধুমাত্র পেটের তাগিদে শিশু থেকে বয়স্ক নারী সবাই গৃহকর্মীর তালিকায় নাম লেখাতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধুমাত্র খাদ্যের অভাব না হলে কেউ কারো বাসায় কাজ বা দাসত্ব করতে আসতো বলে আমার মনে হয় না। 

খুব সম্প্রতি পেটের তাগিদে কাজ করতে আসার পর, ভাত বেশি খাওয়ার অপরাধে স্টিলের খুন্তি আগুনে গরম করে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সিলেটের এক দম্পতির বিরুদ্ধে। এই অভিযুক্তরা আর কেউ নন, তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্স। 'সেবা পরম ধর্ম' এই বাণীকে মূলমন্ত্র জেনে যারা নার্সিং এর মতো মহান পেশাকে বেছে নিয়েছেন, আজ তারাই শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

ছোট্ট জান্নাতের মাসিক বেতন মাত্র ১৫০০ টাকা। এই টাকার বিনিময়ে জান্নাতের উপর চলত দোজখের যন্ত্রণা। ভাত বেশি খাওয়াসহ বিভিন্ন অজুহাতে ওই গৃহকর্মীকে নার্স সাবিহা, তার স্বামী পলাশ এবং বোন রুমি বেধড়ক মারধর করতো। এসব বিষয় পরিবারকে জানালে মেয়েটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতেন অভিযুক্ত নার্স দম্পতি। তাই এতদিন ভুক্তভোগী মুখ খোলেনি। দীর্ঘ দেড় বছরে একবারও জান্নাতকে বাড়ি যেতে দেয়নি। এবার ঈদে সে বাড়ি গেলে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পরিবারের লোকজনের চোখে পড়ে। এরপর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বছর ৩-৪ বছর আগে আমার পরিচিত একজন 'শিক্ষিত ভদ্রমহিলা' বাসার কিশোরী গৃহকর্মীকে মারতে মারতে মেরেই ফেলেছিল। কিশোরীর অপরাধ ছিল সে মাংস চুরি করে খেয়েছিল। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হৈচৈ হয়। পরে এক লাখ টাকা দিয়ে মানুষ হত্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল সেই নারী।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রায় প্রতিবছরই দেখা যায় শিশু গৃহকর্মী অর্থাৎ ৭-৮ বছর বয়স থেকে ১৬-১৭ বছরের মেয়েরা বেশি নির্যাতনের শিকার হয়। আমরা শুধু শারীরিক নির্যাতনের কথাই বলি, মানসিক নির্যাতনইবা কম কি? অষ্টপ্রহর গালিগালাজ, হুকুম পালন করতে বাধ্য করা হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে। বিনোদন ও বিশ্রামের সময়টুকুও পান না অনেকে।

গৃহকর্মীদের উপর, বিশেষ করে শিশু গৃহকর্মীদের উপর, অত্যাচার অনেক বেড়েছে। ঘন ঘন গৃহকর্মী নির্যাতনের সংবাদ আসছে, কিন্তু এর চেয়েও অনেক বেশি গৃহকর্মী নির্যাতিত হচ্ছে। অধিকাংশ নির্যাতনের ঘটনার কোনো মামলা ও বিচার হয় না। যেহেতু গৃহকর্তারা পয়সাওয়ালা ও ক্ষমতাশালী, তাই চাপ দিয়ে কেস তুলে নিতে বলে বা সালিশ করে। সবচাইতে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে এইভাবে গৃহকর্মী নির্যাতনের বা হত্যা করার কোনো মামলাই শেষপর্যন্ত গড়াতে পারে না। পথেই শেষ হয়ে যায়।

এখন অধিকাংশ গৃহকর্মী ২৪ ঘণ্টার জন্য 'বাধা বা বান্ধা কর্মী' হিসেবে থাকতে চান না। কথা বলে জানতে পারলাম এভাবে থাকলে তাদের নিজস্ব কোনো সময় থাকে না। ঘরের মানুষরা সারাক্ষণ যেমন ইচ্ছা অর্ডার করেন, বেড়ানো, বিনোদন তেমনভাবে হয় না। এমনকি ফোনে কথা বললেও বকা খেতে হয়। এজন্য 'খন্ডকালীন বা ছুটা' গৃহকর্মীর সংখ্যা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। খন্ডকালীন কাজে আয়ও বেশি হয় বলে তাদের ধারণা।

নিয়োগকর্তাদের দিক থেকেও এখন 'বাধা বা স্থায়ী মানুষ' নিয়োগ দেয়ার প্রবণতা কমে গেছে। মূলত বিশ্বাসী ও দক্ষ মানুষ না পাওয়া, বেতন বেশি দিতে হয়, রাতের থাকার ব্যবস্থা করতে হয়, সারাদিন বাসায় কেউ থাকে না বলে খালি বাসায় একজন মানুষ রাখা নিরাপদ বোধ করেন না অনেকেই।

গৃহশ্রমিক পার্টটাইম বা ফুলটাইম যাই হোক না কেন, একটি সংসার চালানোর জন্য এদের সাহায্য অপরিহার্য। এই সাহায্যকারীরা না থাকলে গৃহিনীর উপর অনেক বাড়তি চাপ পড়ে। বিশেষ করে বাসার গৃহিনী যদি চাকুরিজীবি হন। করোনাকালে যখন পার্টটাইম গৃহকর্মী কাজে আসতে পারেন নাই, তখন গৃহিনীদের নাভিশ্বাস উঠেছিল। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই গৃহিনীর কাজের চাপ ১০০ ভাগের উপরে উঠে গিয়েছিল। পরিবারের অন্যদেরও কষ্ট হয়েছিল।

দেখা যাচ্ছে আমরা গৃহকর্মীদের উপর নানাভাবে নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে পারি না অনেকেই। গৃহকর্মীদের মারধর ও অত্যাচার করা হয় কেন? কেন কম খাবার দেয়া হয়? ইত্যাদি প্রসঙ্গে মানুষ সাধারণত যে অভিযোগগুলো করে, তা হচ্ছে এরা খুব বেয়াদব, ছোট জাত, আচরণ ভালো না, অলস, ফাঁকিবাজ, প্রেম করে, ফোনে কথা বলে, চুরি করে ইত্যাদি। যদি ধরে নেই এই সব অভিযোগ সত্য, তাহলে তাদের বিদায় করে দেয়াটাই উত্তম ও সহজ।

অহেতুক গালাগালি, মারামারি করতে হয় কেন? মারতে মারতে মেরেইবা ফেলতে হয় কেন? এরপর পুলিশি ঝামেলা, গণমাধ্যমে খবর, ভিকটিমের পরিবারের চাপ সহ্য করতে হয় এবং সর্বোপরি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করতে হয়। সালিশ ও টাকা পয়সা দিয়ে জেল-হাজত থেকে বাঁচতে হয়। সংসারে এত প্রয়োজনীয় সার্পোট সিস্টেমের সঙ্গে নিয়োগকারীদের অত্যন্ত সদ্বভাব থাকার কথা, অথচ এমনটা দেখি না অথবা খুব কম দেখি।

গৃহকর্মী নিয়োগ রেজিস্ট্রেশন করা হয় না বলে এবং গৃহশ্রমিক হিসেবে কোনো পরিচয়পত্র বা নিয়োগপত্র থাকে না বলে ঠিক কতজন, কোথায় কাজ করছেন এটাই জানা যায় না। আর সেই কারণেই জানা যায় না ঠিক কতজন অত্যাচারিত হচ্ছেন। বাংলাদেশে গৃহকর্মী হিসেবে সবচেয়ে বেশি নিয়োগপ্রাপ্ত এবং নির্যাতিত হয় বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েরা। এদের বেতনের কোনো নির্দিষ্ট কাঠামো নাই, নেই কাজের কোনো নির্দিষ্ট সময়। গ্রাম থেকে শহরে আসা এইসব মেয়েদের পরিবার দরিদ্র, নিরক্ষর এবং অসহায় বলে তাদের বিরুদ্ধে হওয়া অপরাধ রুখে দাঁড়াতে পারেন না। অন্যদিকে গৃহকর্মীরা শ্রম আইন ২০০৬ এর বাইরে আছেন, তাই তারা সব অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ আছে। সেই নীতিমালাতে গৃহকর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহার, তাদের বেতন ভাতা ঠিকমতো পরিশোধ, নির্যাতন না করা, শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা বিধান করা, ভরণপোষন দেয়া, ছুটি ও প্রণোদনাসহ আরও সুবিধাদির কথা স্পষ্ট করে বলা আছে। কিন্তু এই নীতিমালা থেকে আইন হয়নি এতগুলো বছরেও।

জাতীয় নারী গৃহশ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও বারবার বলা হয়েছে কেন শ্রম আইন ২০০৬ এ 'কেয়ারগিভার' হিসেবে গৃহ শ্রমিকদের কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি? অথচ আইএলও বহুবছর যাবৎ গৃহশ্রমিকের স্ট্যাটাস কেয়ারগিভার বা হাউজকিপার হিসেবে গণ্য করার কথা বলে আসছে। এশিয়ার অন্য অনেক দেশে হয়েছেও কিন্তু বাংলাদেশের তা সম্ভব হচ্ছে না। কোনরকম অধিকার ছাড়া গৃহশ্রমিকের এই জীবনটাকে দাসত্বের অন্ধকার জীবন বলা যায়।

সেই কারণেই নিবন্ধনকৃত কোনো জায়গা থেকে যদি গৃহশ্রমিক সরবরাহের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে গৃহকর্মী ও নিয়োগকর্তা দুপক্ষই রেহাই পাবেন। এটা বাস্তবায়নে সরকারকে এগিয়ে এসে নিয়মিত মনিটরিং ও দোষীদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা, তদন্ত চালানো, নজরদারি বাড়ানো, শাস্তি দেয়া ইত্যাদি বিষয়গুলোকে শ্রম আইন ও গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নীতিমালার আওতায় আনতে হবে।

বিশ্বের অনেক দেশেই, এমনকি ভারতেও গৃহশ্রমিক সরবরাহ ও অভিযোগ জানানোর নিয়মতান্ত্রিক সংস্থা আছে। বাংলাদেশেও এখন বেসরকারি উদ্যোগে কিছু সংস্থা কাজ করছে, বিশেষ করে কেয়ারগিভার সরবরাহ করার কাজ। আমরা চাই দেশে বা বিদেশে যেখানেই একজন গৃহকর্মী বা কেয়ারগিভার কাজ করবেন, সেখানে তারা নিরাপদ থাকবেন, কারণ এটা তাদের অধিকার। আমরা সবাই এমন কর্মক্ষেত্র চাই যেখানে আমাদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়ণের শিকার হতে না হয়। ভাতও চাই, নিরাপত্তাও চাই --- এই হোক আমাদের শ্লোগান।

শাহানা হুদা রঞ্জনা, যোগাযোগ কর্মী

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago