পেরুর বামপন্থী প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো এবং মার্কিন অনুগত ডানপন্থীদের ক্যু

পেরুর ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো
পেরুর ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলো। ছবি: রয়টার্স

পেরুতে গত ৬ বছরে (২০১৬-২০২২) ৭ জন রাষ্ট্রপতি পরিবর্তন হয়েছে। সবই হয়েছে সাবেক একনায়ক ফুজিমোরির সময়ে করা অগণতান্ত্রিক সংবিধানের কারণে। মার্কিনের মদদপুষ্ট সাবেক স্বৈরাচার ফুজিমোরি তার অনুসারীদের ক্ষমতায় রাখতে এ কাজ করে গেছেন। তার করা সংবিধানের কারণে কংগ্রেস 'নৈতিক অক্ষমতা'র অজুহাতে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিদের অপসারণ করে।

২০২১ সালের জুনে কাস্তিলো রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই কংগ্রেসের মার্কিন সমর্থিত ডানপন্থী অংশ ও সাবেক স্বৈরশাসক আলবার্তো ফুজিমোরির দল তাকে ক্রমাগত ক্ষমতাচ্যুত ও তার সরকারকে অস্থিতিশীল করার তৎপরতায় লিপ্ত ছিল। ৭ ডিসেম্বর ছিল তার পরিণতির দিন।

কাস্তিলোর যেসব নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল তার অনেক কিছুই তিনি করতে পারেননি। কারণ প্রতিনিয়তই তিনি কংগ্রেস থেকে বাধা ও অসহযোগিতা পেয়েছেন। কাস্তিলো গ্যাস সম্পদ জাতীয়করণ করতে চেয়েও পারেননি। বিপুল মজুত থাকার পরও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে। করোনা চলাকালীন সরকার কিছু করতে পারেনি। কারণ পেরুর সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল বেসরকারি সংস্থা এবং বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষা করতে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামাক উৎপাদনকারী দেশ পেরু। কৃষিখাতের সংস্কারের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। যে কারণে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কাস্তিলো তার প্রতিশ্রুতির বেশির ভাগই পূরণ করতে পারেননি। এক অর্থে তিনি সংসদে অবরুদ্ধ ছিলেন। অন্যদিকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, তিনি কিছুই করছেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তাকে কিছু করতে দেওয়া হয়নি। কেননা পতিত স্বৈরাচারের সাংবিধানিক কাঠামো সেভাবেই সাজানো হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট কাস্তিলো কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে 'ব্যতিক্রমী জরুরি সরকারের মাধ্যমে' দেশ পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেসহ অন্যান্য সংসদ সদ্যরা। কাস্তিলো ঘোষণা দেন প্রয়োজনে তিনি কংগ্রেস ভেঙে দিয়ে জরুরি সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করবেন। তার এ ঘোষণায় কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। পেরুর সাংবিধানিক আদালত তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। আদালত কাস্তিলোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ করেন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানায়। এমতাবস্থায় কংগ্রেস জরুরি বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট কাস্তিলোকে অপসারণ করেন। তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আন্দোলনের ঘোষণা দিলে তাকে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়।

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বামপন্থী কাস্তিলোকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে সাংবিধানিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে উল্টো তার বিরুদ্ধেই পাল্টা অভ্যুত্থানের অভিযোগ আনা হয়। তিনি যদি অভ্যুত্থান করেই থাকেন, কাকে নিয়ে, কীভাবে তা করলেন? তিনি তো একা ছিলেন, তার হাতে কোন বন্দুক-পিস্তল ছিল না।

কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির যে ধারায় অভিযোগ এনেছে, সেখানে অস্ত্রধারীদের বিচার করা হয়। কিন্তু তিনি তা ছিলেন না। সে কারণেই বলা যায় তাকে একেবারে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে।

গত নির্বাচনে- ফুজিমোরির মেয়ে কিকো রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাস্তিলোর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি পরাজয় মেনে নিতে পারেননি। তিনি চাননি তার প্রতিপক্ষ ক্ষমতায় থাকুক। বহু বছর ধরে তাদের দল ফুয়ের্জা পপুলার কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণ করছে। স্বৈরশাসক ফুজিমোরি ২০০০ সাল পর্যন্ত শাসন ক্ষমতায় ছিলেন। বর্তমানে তার ছেলে ও মেয়ে দুজনকেই পেরুর রাজনীতিতে অত্যন্ত ক্ষমতাবান হিসেবে ধরা হয়। তারা এমন আইনও তৈরি করছে, যাতে আমলারা নির্বাহী ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। যে কারণে- পেরুর কোনো নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি তাদের স্বার্থের পক্ষে না থাকলে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।

১৯৯৩ সালে ফুজিমোরি এমন এক সংবিধান তৈরি করেন যার কারসাজিতে কংগ্রেসই সকল ক্ষমতা আরোপ ও ভোগ করেন। এককভাবে রাষ্ট্রপতির পক্ষে কিছু করা তো দূরে থাক এমন কি তিনি ভ্রমণে যেতে চাইলেও পার্লামেন্টের অনুমতি নিতে হয়। পেরুর বিখ্যাত সাংবাদিক, পণ্ডিত ও প্রাক্তন আইন প্রণেতা ম্যানুয়েল বেঞ্জা ফ্লুকার মতে, ফুজিমোরি সংবিধানটি মূলত যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করে দিয়েছিল, যাতে নিওলিবারাল অর্থনৈতিক নীতিগুলিকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর একটি বাধ্যতামূলক অংশ করে তোলা যায়। পেরুর সংবিধানের ১১৩ অনুচ্ছেদ এককক্ষ বিশিষ্ট কংগ্রেসকে রাষ্ট্রপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয় যদি দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য তাদের 'নৈতিক অক্ষমতা' ঘোষণা করতে ভোট দেয়।

স্বৈরশাসক আলবার্তো ফুজিমোরি ১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দেশ শাসন করেন। এ সময়ে তিনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছেন। তাদের জোর করে বন্ধ্যা করেছেন। প্রতিপক্ষের হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন। অনেক ভিন্নমতাবলম্বীকে গুম করেছেন। তার অপকীর্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না।

কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বালুয়ার্তে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। অনির্বাচিত এই রাষ্ট্রপতি প্রহসনের রাজনৈতিক জোট ও জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের আহ্বান জানান। তার বিরুদ্ধে এ সব চক্রান্তের ঘটনায় দৃঢ়চেতা কাস্তিলো তার সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে কংগ্রেসে তথাকথিত সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে সংবিধান পরিবর্তন অনিবার্য।

কাস্তিলো গ্রামের এক সাধারণ স্কুলের শিক্ষক, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী ও সংগঠক। যিনি অবহেলিত-নির্যাতিত-শোষিত-বঞ্চিত আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে এসেছেন। তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তাদের অধিকারের কথা বলছেন। তিনি দেশের সেই সব মানুষের কথা বলেছেন, যারা এতদিন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো থেকে বাদ পড়েছেন।

কাস্তিলোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর জেগে উঠেছে পেরুর জনগণ। দেশজুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। এ পর্যন্ত ২১ জন রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষ সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছে অসংখ্য। আন্দোলনকারীরা বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছেন। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। দেশের ১৫টি অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

আন্দোলনকারীরা দ্রুত কাস্তিলোর মুক্তি, আগাম নির্বাচন ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। নতুন সংবিধান তৈরির জন্য একটি গণপরিষদ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে-বিপক্ষে যে জনমত জরিপ হয়েছে সেখানে দেখা গেছে ৮৩ ভাগ নাগরিক পরিবর্তনের পক্ষে।

কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার এই সংবাদ দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা ও বিকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, কাস্তিলো কংগ্রেসে অভ্যুত্থান চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কংগ্রেস ভেঙে দিয়েছেন এবং সাংবিধানিক গণভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে- কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দীর্ঘদিন ধরেই ষড়যন্ত্র হচ্ছিল। যা শুরু হয়েছিল তার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই। উগ্র ডানপন্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাকে অক্ষম ও ব্যর্থ প্রমাণে নানা গল্প প্রচার করেছে। সে কূটকৌশল কেবল কাস্তিলোর বিরুদ্ধে নয়, তার সমর্থক-সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ছিল।

কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশীয় ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ছিল মার্কিনীদের প্রত্যক্ষ সংযোগ। যে কারণে পেদ্রো কাস্তিলোকে ক্ষমতাচ্যুত করার একদিন আগে- সিআইএর প্রতিনিধি ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পেরুতে সেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিসা ৯ বছর সিআইএ এবং পেন্টাগনের জন্য কাজ করেছেন। এবং তিনি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি কাস্তিলোকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে।

লাতিন আমেরিকার রাজনীতিতে মার্কিনীদের হস্তক্ষেপ নতুন কিছু নয়। অতীতেও তারা এ কাজ করেছে, এখনো করছে। সিআইএ লাতিন আমেরিকায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বামপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে ১৯৫৪ সালে গুয়াতেমালার রাষ্ট্রপতি জ্যাকোবো আরবেনজ থেকে ১৯৭৩ সালে চিলির রাষ্ট্রপতি সালভাদর আলেন্দের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের আয়োজন করেছে।

বলিভিয়ার শ্রমিক ও আদিবাসীদের প্রতিনিধি ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করা হয়েছিল। পেরু ও বলিভিয়ার পার্থক্য থাকলেও তাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। সেই মিলের একটি হচ্ছে, উভয় দেশেই একটা বড় অংশের জনগণ আদিবাসী, যারা বহু দশক ধরে বুর্জোয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থার নিপীড়নের শিকার। বলিভিয়ার ইভো মোরালেস ছিলেন প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। একইভাবে, কাস্তিলো গ্রামীণ জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রথম প্রতিনিধি। 

দীর্ঘকাল দেশটির রাজনৈতিক ব্যবস্থায় মার্কিন অনুগত শাসক, বর্ণবাদী অভিজাতদের একক আধিপত্য ছিল। পেরুর রাজনৈতিক কর্তৃত্বে ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের প্রাধান্য আছে যারা আদিবাসীদের অবজ্ঞা করেন। অভিজাতদের একটি দল কাস্তিলোর মতো পোশাক-পরিচ্ছদ পরে তাকে ঠাট্টা-মশকরা পর্যন্ত করছে। পেরুর এ সব অভিজাত শ্বেতাঙ্গরা সে দেশের মানুষদের একটি বড় অংশের ভাষাও বোঝে না এবং এতে তারা গর্ব বোধ করেন।

কাস্তিলোর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা- রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং কংগ্রেসের উপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। অভিজাত ধনিক শ্রেণি, কর্পোরেট, অলিগার্ক, সামরিক বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন ও মিডিয়ার ওপর তিনি প্রভাব বিস্তার করতেন না। যে কারণে এই এলিট শ্রেণি মিডিয়াতে তার বিরুদ্ধে ক্রমাগত একতরফা নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে সমাজের উপর শ্রেণিকে বিষিয়ে তুলেছে।

মিডিয়া ও ডানপন্থীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে বরং সত্য হচ্ছে, যারা এই অভিযোগ করছে তাদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ আছে। পেরুর রাজনীতিতে দুর্নীতি মোটেই নতুন কিছু নয়। কিন্তু কাস্তিলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার কথা মনে করিয়ে দেয়, ব্রাজিলের রাজনীতিতে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দ্বারাই তা করা হয়েছিল।

কাস্তিলোর ষড়যন্ত্রমূলক ক্ষমতাচ্যুতি লাতিন আমেরিকার মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, হন্ডুরাস, ভেনেজুয়েলা, কিউবা ও বিভিন্ন ক্যারিবিয়ান দেশসহ লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ পেরুর অনির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করেছে এবং স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করেছে।

পেরুতে কাস্তিলোর মুক্তির দাবিতে ক্রমবর্ধমান বিক্ষোভের মুখে রাষ্ট্রপতি দিনা বোলুয়ার্ত ২০২৪ সালে আগাম নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ থামছে না বরং বাড়ছে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে কাস্তিলোর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার দাবি করছে। নতুন শাসক অতি দ্রুততার সঙ্গে কাস্তিলোকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে। তাকে বাইরে রেখেই নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে। যেমনটি ২০১৮তে ব্রাজিলের লুলার ক্ষেত্রে করা হয়েছিল। এখানেও কি তার পুনরাবৃত্তি ঘটবে? পেরুর জনগণই জোরালো সংগ্রামের মাধ্যমে সে প্রশ্নের উত্তর দেবে।

 

ড. মঞ্জুরে খোদা: লেখক-গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English
Banking sector crisis

Why is the banking sector crisis so deep-rooted?

The regime-sponsored immorality to protect or pamper the financial gangsters not only eroded the future of the banking sector, but also made the wound too difficult to recover from.

4h ago