দেশের প্রতি তরুণরা কতটা দায়িত্বশীল
ডিসেম্বর এলে আমাদের আবেগ, অনুভূতি, উচ্ছ্বাস প্রকট হতে থাকে। মাঝে মাঝে তা প্রবল ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসে। ধেয়ে আসে বলেই আমরা জানতে পারি আমাদের শিকড় কোথায়। ক্ষণিক জানা পূর্ণতা পায় না।
ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এপ্রিল পর্যন্ত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত থাকে। এরপর? এরপর আর আমাদের মনে থাকে না আমাদের শিকড় কোথায়? মনে থাকে না, মুক্তিযুদ্ধ শুরুই হয়েছিল সাংস্কৃতিক প্রতিরোধের মধ্য দিয়ে?
৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি বিকৃত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, সবাই নিজের অবস্থান ঠিক রেখে এরপর ইতিহাস বলেন। ফলে যিনি যুদ্ধ করেছেন, তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আর রাজাকার হয়ে যায় সুবিধাভোগী, পায় রাষ্ট্রের আদর-যত্ন।
'ভারত থেকে আসা শরণার্থীদের চাল গম দেওয়া হবে। আগেও দেওয়া হয়েছে, ওরা তিন দিন গিয়ে না পেয়ে ফিরে এসেছে। সেখানে গিয়ে দেখলাম, প্রচুর লোক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, যাদের তিন চতুর্থাংশই স্থানীয় মুসলমান, যাদের মধ্যে অনেককেই আমি নিজের চোখে একাধিক দিন লুটপাট অগ্নি সংযোগ করতে দেখেছি। অনেকেই এদের দেখে অসন্তুষ্ট, কিন্তু সাহস করে চেয়ারম্যানকে কিছু বলতে পারছে না।' (দেশভাগ ও একাত্তরের স্মৃতি, হৃদয়ের টুকরোয় গাঁথা, সম্পাদনা ঝর্ণা বসু)
এই ঘটনা কি নতুন? না। এইরকম অহরহ ঘটনার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসই এখন পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অথচ ৫০ বছরে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা, বীরাঙ্গনাদের তালিকা, বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা উচিত ছিল। কেন হয়নি? সদিচ্ছার অভাব? একদমই না।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কথা বাদ দিলাম, আওয়ামী লীগের আমলে কেন হয়নি? কারণ যুদ্ধাপরাধীরা এখন আর একক নেই, তারা সামষ্টিক। তারা কারো না কারো আত্মীয়। যাদের আত্মীয় তারাই রাজনৈতিক দলের হর্তাকর্তা। ফলে কোনো দলই আর এই বিষয়ে আগ্রহ দেখায় না। শুধু মুখে বড় বড় বুলি আওড়িয়ে সময় পার করে।
প্রশ্ন আসে, ২০০৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগ শাসন করছে। এরমধ্যে কেন পূর্ণাঙ্গ তালিকা তারা প্রকাশ করেনি?
অথচ আমরা চাইলেই পারতাম ভারতের প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়ের মতো পরিপূর্ণ জাদুঘর তৈরি করতে। যেখানে গোটা দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। গবেষণার জন্য সবধরনের বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন থাকবে। সেই সদিচ্ছা কি আমাদের আছে?
আজকের শিশু বা তরুণরা ইতিহাস বা দিনক্ষণ জানে না দেখে তাদের দোষারোপ করি, বকাঝকা করি, দুঃখ প্রকাশ করি। এর দায় আসলে কার? এর দায় শিশু বা তরুণদের নয়। কিন্তু দোষ দেওয়ার সময় আমরা কখনোই শিশু বা তরুণদের ছেড়ে কথা বলি না।
'পৃথিবীটা মানুষের হোক
ধর্ম থাকুক অন্তরে
মসজিদে আজান হোক
ঘণ্টা বাজুক মন্দিরে'
এইরকম একটা অসাম্প্রদায়িক দেশের স্বপ্ন দেখেছিল সবাই। সেই অসাম্প্রদায়িক দেশ কি আমরা গড়তে পেরেছি? আমরা কি খেলা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতিকে অন্ধকার মুক্ত রাখতে পেরেছি? পারিনি। পারিনি দেখেই ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্র প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্ন সবাইকে হতবাক করে তোলে। এই সংকটের বিপরীতে আমরা খুঁজে পাই আরেক বাংলাদেশ।
ভারতের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রামে ভারতে গিয়ে দেখেছি তারা ইতিহাস, বিজ্ঞান, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, গবেষণায় কতটা সমৃদ্ধ। এই সমৃদ্ধি কিন্তু একদিনে তৈরি হয়নি। প্রবল ইচ্ছে ও একাগ্রতা ছিল তার পেছনে। অথচ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এখনো প্রান্তিকে পৌঁছায়নি। এর দায় কার?
রাজনৈতিক দলাদলির কারণে তরুণরা রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়ছে। তারা এখন নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছুই বোঝে না। দেশের কোথায় কী হলো, কী করলে দেশের মঙ্গল হয়— তা নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। এতে কী হচ্ছে? দেশ থেকে মেধাবী তরুণরা বিদেশে চলে যাচ্ছে।
৪ বছরে কানাডায় পড়াশোনার জন্য আবেদন বেড়েছে ২৭০ শতাংশ। ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ফিরতে চান না সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে বিদেশে থেকে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। ইউনেস্কোর তথ্য বলছে, ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা নিতে বিদেশে পাড়ি জমায়।
শুধু তাই নয়, পরিবার নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর সংখ্যাও বাড়ছে। কারণ হলো, দেশের অস্থিতিশীলতা, দুর্নীতি, অস্বস্তি তরুণ থেকে বয়স্ক সবাইকে দেশ ছাড়তে উৎসাহিত করছে। ফলে গভীর শূন্যতা তৈরি হচ্ছে।
আগামী প্রজন্ম যদি দেশ সম্পর্কে না জানে, ইতিহাস না জানে, তার আলাদা কোনো শিকড় তৈরি হয় না। ভিত চলে যায় অন্যত্র। শিক্ষিত, মেধাবী প্রজন্ম তখন দেশের বাইরে চলে যাবে। এই সংকট সমাধানে আমাদের সদিচ্ছা যে নেই তা বোঝা যাচ্ছে। এই সংকটের বিপরীতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন প্রোগ্রামের শত তরুণের মাঝে দেখেছি অমিত সম্ভাবনা। কথা বলেছি সেইসব তরুণদের সঙ্গে। জেনেছি তাদের ভাবনা। তারা প্রত্যেকেই যেন বাংলাদেশ। তাদের দেখে ফিরে আসে আশা।
বন্যায় মানুষের ত্রাণ প্রয়োজন। কিন্তু বন্যায় নারীর স্বাস্থ্যসেবার কথা কেউ কি ভেবেছে? নাফিসা হক ভাবে তাদের কথা। বিভিন্ন সংকটপূর্ণ সময়ে নারী ও শিশুর সুরক্ষা, মেন্সট্রুয়াল হাইজিন, শিশুদের সেফ-আনসেফ ও সেফটি সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করেন তিনি।
পারভীন আক্তার পারুল। জাতীয় দলের হ্যান্ডবল খেলোয়াড়। তারুণ্যে ভরা পারুল ২০১৬ সাল থেকে দেশের সম্মান রক্ষার্থে জাতীয় দলে খেলছেন। ক্যারিয়ার নিয়ে তরুণদের হতাশা প্রবল। অথচ তার বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার পথে হেঁটেছে আনন্দ কুটুম। চাকরি নয়, উদ্যোক্তা জীবনই শ্রেয় এই মর্মে শিক্ষাজীবন শেষ করেই মাঠে নেমে এখন সফল উদ্যোক্তা।
হিমালয় থেকে সুন্দরবন হঠাৎ বাংলাদেশ। সেই হিমালয়ের ডোলমা খাং পর্বত চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন শায়লা বিথী। শায়লার পাশেই যেন রাকা। কায়াকিং করে প্রথম নারী হিসেবে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন হানিয়াম মারিয়া রাকা।
সাপে নেউলে সম্পর্ককে আত্মিক করেছেন সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। সাপ উদ্ধার, সাপ পুনর্বাসন, সাপ বিষয়ক সচেতনতা তৈরিসহ বিবিধ বিষয় নিয়ে কাজ করেন তিনি। সাপের যেমন বাঁচার অধিকার আছে, তেমনি ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামীদেরও সেই অধিকার রয়েছে। তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন খুলনার উত্থান রায়।
প্রচণ্ড একাগ্রতা নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রজেক্টে কাজ করছেন চারুকলায় পড়া তরুণী অঙ্কন জয়া দাস। সংকট দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান হোক তা জানানো জরুরি। দৃশ্যমান বা অদৃশ্যমান সংকট সংবাদমাধ্যমে উঠিয়ে আনেন সাংবাদিক অনয় মুখার্জী।
বিয়ে যে নারীর জীবনের সব নয়, তা প্রমাণে ছুটে চলেছেন ফারিহা বারী। যা দেখি তার সবই ভালো। সেই ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনে তুলে ধরছেন সাদিয়া আক্তার। আর সেলুলয়েড ফ্রেমে তুলে আনছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা অনাদিনী মগ্ন। শিশুদের নৈতিকতা বিষয়ক বই লিখেছেন অনাদিনী। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, কানাডাতে তা প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যাচেলর জীবনে আবাসনের যে সংকট, সেই সংকট সমাধানে কাজ করছে সৌমিক দত্ত। ২০১৯ সালের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বেকার সংখ্যা ৩ কোটি। সৌমিকের নতুন স্টার্টআপ বিজনেস বেকার সমস্যার সমাধানে কাজে লাগবে নিশ্চিত।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়া তরুণ শুভ্রদেব হালদার কাজ করছেন বিনামূল্যে সাধারণ মানুষদের বেসিক লাইফ সাপোর্ট স্কিল বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে। নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গসমতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে গবেষণা করছেন উন্নয়নকর্মী অনন্যা শর্মা প্রমা।
অসীম প্রভাবন ক্ষমতা সম্পন্ন থিয়েটার ও সাংস্কৃতিক কর্মী উত্তম কাব্য সিলেটে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন। দক্ষতা, উপস্থাপনা ও প্রজ্ঞা দিয়ে মুগ্ধ করছেন সাংবাদিক সজল দাস। ইয়োগা শিক্ষক মাখিং মারমা কাজ করছেন পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীদের সংস্কৃতি নিয়ে। এই পার্বত্য অঞ্চল থেকেই আমরা খুঁজে পাই, সাফজয়ী নারী ফুটবলার রুপনা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে। যারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছেন।
এ ছাড়া পেয়েছি মেধাবী শিক্ষক মিজানুর রহমান বাবুকে। সুকণ্ঠী শিল্পী নিলয় আকাশকে; সংগীত যার ধ্যানজ্ঞান। সাংবাদিক আতিকা রহমান; তথ্য এবং তত্ত্বের বিশ্লেষণে যিনি পারদর্শী। সেভেন আপ মিউজিক প্রিমিয়ার লীগ ২০১৬ বিজয়ী শিল্পী আশিকুজ্জামান বনি; যার কণ্ঠ মুগ্ধতা জাগায়। বিচক্ষণ সাংবাদিক বিপ্লব দে পার্থ; যার লেখনী আলোড়িত করে। আইনজীবী রাজীব দাশ বাবু; আইনি বিষয়ক সঠিক পরামর্শ দিতে উৎসাহী যিনি। সংগীত পরিচালক অরণ্য আকোন, শিক্ষার্থী সাগর সরকারসহ অসংখ্য তরুণপ্রাণ, যারা আসলেই একেকজন বাংলাদেশ। তাদের হাতেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব।
নেতৃত্ব যেদিকে যাবে দেশের জয় সেদিকেই হবে। গোটা পৃথিবী এখন সচেতন। মেধাবীদের দেশে রাখতে বা অন্যদেশ থেকে মেধাবীদের নিজেদের দেশে নিয়ে আসতে সবাই সচেষ্ট। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক এখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক এখন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি। সিলেটের বিশ্বনাথে জন্ম নেওয়া রুশানারা আলী এখন লেবার পার্টির সিনিয়র এমপি। এইরকম উদাহরণ অসংখ্য।
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন, বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী, যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার আকরাম খানসহ অসংখ্য নাম পাওয়া যাবে যাদের আমরা দেশে রাখতে পারিনি। তাদের নিজেদের অথবা অভিভাবকদের শিকড় ছিল বাংলাদেশে। সংকট অতীতে যেমন ছিল বর্তমানে তা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
দেশের বিজ্ঞানী, অধ্যাপক, সাহিত্যিকরা এখন দেশে থাকতে চাইছেন না। শুধু সৃজনশীল মাধ্যম নয়, বাণিজ্যিক মাধ্যমেও একই অবস্থা। সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির আসবাবপত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল। তিনি বললেন, দেশের বড় বড় যত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, যারা দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রেখেছে, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের বেশিরভাগই দেশের বাইরে থাকেন। দেশের প্রতি তাদের আগ্রহ নেই। সবাই দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে আবাস গড়েছেন। তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হয়তো ছাড়ছেন না কিন্তু তারা দেশেও থাকছেন না। এদিকে ভারত অবশ্য এগিয়ে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ২০২০ সালে ৮৫ হাজারের সামান্য বেশি মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব ছেড়েছিলেন, সেখানে ২০২১ সালে সেই সংখ্যা ছিল দেড় লাখেরও বেশি।
এই সংকটে আমরা পড়তে চাই না। আমাদের সংকট লাঘব করার সুযোগ আছে। সুযোগ আছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি নিয়ে সর্বোচ্চ কাজ করার। সুযোগ আছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বাণিজ্য বা ভোটের হাতিয়ার হিসেবে না দেখে শহর থেকে প্রান্তিকে পৌঁছে দেওয়ার। সুযোগ আছে সাড়ে ৪ কোটি তরুণকে দক্ষ, যোগ্যভাবে গড়ে তোলার। সুযোগ আছে দেশের মেধা পাচার বন্ধের। সুযোগ আছে তারুণ্যের শক্তি সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ে তোলার। এত সুযোগ আমি বা আপনি দেখছি, সরকার কি দেখছে? রাষ্ট্র কি তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে?
বিনয় দত্ত, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
benoydutta.writer@gmail.com
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments