জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী

‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দিলে আদালতের রায়ের অবমাননা হবে’

Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ করা নিয়ে উচ্চ আদালতের রায় আছে। সরকার এই রায় অমান্য করতে পারছে না। এই রায় অমান্য করলে আদালত অবমাননা হবে।

গতকাল (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

দৈনিক প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগে নিজের সমাপনী ভাষণে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ কোটা সংস্কারের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করেন।

সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি তো বলেছি টোটাল কোটা বাদ দিতে। কিন্তু হাইকোর্টের রায় রয়েছে। এই রায় অবমাননা করলে তো আমি কনটেমপ্ট অব কোর্টে পড়ে যাব। এটা তো কেউ করতেই পারবে না। কিন্তু আমরা তো ক্যাবিনেট সেক্রেটারি দিয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছে। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায়?”

তিনি বলেন, “কোটা নিয়ে আন্দোলন। ঠিক তারা যে কী চায়, বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, সেটা কিন্তু সঠিকভাবে বলতে পারে নাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী গতকাল বলেছেন কোটার ব্যাপারে— মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা, তার ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় রয়ে গেছে। যেখানে হাইকোর্টের রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা ওইভাবে সংরক্ষিত থাকবে। তাহলে ওই কোটার বিষয়ে আমরা কীভাবে কোর্টের ওই রায় ভায়োলেট করব। সেটা তো আমরা করতে পারছি না। কিন্তু আমি যেটা করে দিয়েছি, কোটা যেটাই থাক, কোটা পূরণে যেটা খালি থাকবে, তা মেধা থেকে পূরণ হবে। গত কয়েক বছর থেকেই এই প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। তা হচ্ছে।”

আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন ছেলেপুলে আন্দোলন করতেই পারে। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করে সেখানে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া, গাড়িতে আগুন দিয়ে পোড়ানো, বাড়ি ভাঙচুর করা, বেডরুম পর্যন্ত পৌঁছে ভাঙচুর ও লুটপাট করা, স্টিলের আলমারি ভেঙে গহনাগাটি, টাকাপয়সা— সবকিছু লুটপাট করা হয়েছে। ভিসির পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লুকিয়ে থেকে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। এটা কি কোনো শিক্ষার্থীর কাজ? এটা কি কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে? কথায় কথা বলে, ক্লাস করবে না। ক্লাসে তালা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত কে হবে? আমরা সেশনজট দূর করেছি। তাদের কারণে এখন আবার সেই সেশনজট।

ভিসির বাড়িতে যারা ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে, আক্রমণ করেছে, তাদের তো ছাড়া হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের ছাড়া যায় না। তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করছে। যত আন্দোলনই হোক না কেন, এদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ এরা লেখাপড়া শিখতে আসেনি।”

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

8h ago