শান্তি নিকেতন থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
একজন মারাঠী নারীর সঙ্গে তরুণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে ‘নলিনী’-র জন্ম। বিশ্বকবির সেই প্রথম প্রেমের চিত্ররূপ দিতে চেয়েছিলেন বলিউডের অন্যতম শীর্ষ অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সে জন্যে প্রয়োজন ছিল বিশ্বভারতীর অনুমোদন। কিন্তু, রবি ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘না’ বলে দিয়েছে।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য সবুজ কলি সেন গতকাল (৩০ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিত্রনাট্যটি নিয়ে আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ক্যাম্পাসে এমন চলচ্চিত্রের শুটিং করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। এতে লাখো মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে।”
বিষয়টি ‘নলিনী’-র পরিচালক উজ্জ্বল চট্টপাধ্যায়কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। উপাচার্য সবুজ কলি সেন বলেন, “এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একটি বাণিজ্যিক ছবির শুটিং করার অনুমতি দিয়ে আমরা এখানকার শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চাই না।”
ছবিটির পরিচালক এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ১৮৭৮-৭৯ সালে মারাঠী নারী অন্নপূর্ণা তুরখাদের সঙ্গে ১৭ বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সম্পর্ক’ নিয়ে লিখিত তথ্য এবং ‘বিশেষ গবেষণা’-র ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হবে। রবীন্দ্রনাথের বিলেত ভ্রমণের আগে তাকে পশ্চিমের আদব-কায়দা শেখাতেন অন্নপূর্ণা।
পরিচালক উজ্জ্বল চট্টপাধ্যায় জানান, বিশ্বভারতীতে শুটিং করার বিষয়ে সবুজ কলি সেনের আগের উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত তাকে লিখিত অনুমতি দিয়েছিলেন। তিনি এই চলচ্চিত্রকে রবীন্দ্রনাথের জীবনীচিত্র হিসেবেও উল্লেখ করেন।
‘নলিনী’-কে একটি বাণিজ্যিক ছবি হিসেবে উপাচার্য সবুজ কলি সেনের মন্তব্য প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, “প্রতিটি চলচ্চিত্রের একটি বাণিজ্যিক দিক থাকে। কিন্তু, ‘নলিনী’-র মতো চলচ্চিত্রগুলোতে শিল্পমানের দিকে বেশি নজর রাখা হয়। কেননা, আমরা ইতিহাসের একটি অধ্যায়কে সঠিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাই।”
তবে বিষয়টি নিয়ে আরও উচ্চ মহলের স্মরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান পরিচালক। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ছবিটি প্রযোজনা করবেন বলে আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া রয়েছে।
Comments