বাংলাদেশের টানে

আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমরা বাংলাদেশি। নিজেদের দেশকে আমরা তো ভালোবাসবই। কিন্তু এমন কাউকে জানা আছে আপনার, যারা নিজেদের দেশকে ছেড়ে বাংলাদেশে এসেছেন এই দেশের এবং দেশের মানুষের ভালোর জন্য? বিশেষ করে সেই একজন যদি নারী হয়, তাহলে নিশ্চয় আরো অবাক হয়ে যাবেন আপনি? আজ আপনাকে শোনাব বর্তমানে নিজেদের দেশ থেকে এতদূরে এসে বাংলাদেশের জন্য কর্মরত কিছু নারীর কথা। কেবল এখানে তারা আসেনইনি, সেইসঙ্গে শিখেছেন বাংলা ভাষা, পরেছেন বাংলার পোশাক।

ডেবরা এফ্রোইমসন

ডেবরা এফ্রোইমসন বা অনীমা ভাবী

ভাবছেন, বিদেশি একজনের নামে আবার বাংলা শব্দ কেন জুড়ে দিচ্ছি? কারণ, এই মানুষটির আসল নাম ডেবরা হলেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনীমা ভাবী নামেই তিনি বেশি পরিচিত। পড়াশোনাকালীন সময়েই ভালো লেগে যায় তার বাংলাদেশের এক শিক্ষার্থীকে। ভালোবেসে ফেলেন এই দেশটাকেও। কাজ শুরু করেন বাংলাদেশের জন্য। পরতে শুরু করেন শাড়ি। লালশাক বেশ পছন্দ ডেবরার। রান্না করতে পারেন হরেক রকমের বাঙালি পদ। ভালো লাগে বাংলাদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাইরে যেতে। তবে কেবল বাংলা ভাষা শেখা বা বাংলাদেশের কাপড় পরার মধ্যেই তিনি আটকে রাখেননি দেশের প্রতি তার ভালোবাসাকে। সেইসঙ্গে মানুষের জন্যও কাজ করেছেন তিনি। আমেরিকান এই নারী বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করেছেন। দ্য হেলথ কোলাবরেটিভ: টেকনোলজি পাওয়ার্ড বাই হেলথব্রিজ নামে একটি সংস্থায় কাজ করছেন তিনি এখন। অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

এরি হিরোহামা

এরি হিরোহামা

জাপানের টোকিওর মেয়ে এরি। সেখানে থাকতেই ভালোবেসে ফেলেন বাংলাদেশের একজনকে। জানেন বাংলাদেশকে। না, অনীমা ভাবীর মতো এখনো অতটা বেশি বাংলাদেশের সব সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে পারেননি এই নারী। তবে ভালোবাসেন তিনি বাংলাদেশকে। হিরোহামা বাংলাদেশ লিমিটেড নামে নিজের একটি প্রতিষ্ঠান আছে এরির। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছেন তিনি।

জেনিফার ফারেল

জেনিফার ফারেল

জেনিফার ফারেল কেবল যে বাংলাদেশকে ভালোবাসেন তা-ই নয়, সেইসঙ্গে এই দেশের সবকিছুর সঙ্গেই খুব বেশি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। ফলে দেশের বাইরে গেলে বারবার মনে হয় জেনিফারের বাড়ি থেকে দূরে চলে গেছেন তিনি। আমেরিকার পর এটাই তার দ্বিতীয় ঘর হয়ে গেছে। দেশের বাইরে গেলে কোন জিনিসটি বেশি মনে পড়ে তার? শুনতে অবাক করা হলেও বাংলাদেশের জ্যামের কথা খুব মনে পড়ে জেনিফারের। বর্তমানে ক্রিটিক্যাল লিঙ্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন জেনিফার। ক্রিটিক্যাল লিংক শিশুদের নানারকম স্বাস্থ্যসেবা, সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদের সুস্থতা, ফার্স্ট এইড ট্রেনিং দেয়ার মতো কাজগুলো করে থাকে। বাংলাদেশের মানুষ আর শিশুদের নিয়ে বেশ আছেন জেনিফার।

কেটি ক্রোক

কেটি ক্রোক

ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংস্থায় কাজ করেন কেটি। সেখান থেকে দেশের নানারকম পরিস্থিতি, দেশের সমস্যা, স্বাস্থ্য- সবকিছু নিয়েই কাজ করেন তিনি। বাংলাদেশকে কেমন লাগে তার? ভাঙা ভাঙা শব্দে খানিকটা বাংলায় জানিয়ে দেন কেটি- খুব ভালো লাগে। এখানে কেবল আসেননি তিনি, সেইসঙ্গে মানসিকভাবে বাংলাদেশকে আপন করে নিয়েছেন কেটি অনেক বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

CA to unveil election date within 4 to 5 days

The Jatiya Party (Kazi Zafar) chief made the remarks after a meeting between Yunus and 12 parties at the state guest house Jamuna

3h ago