শ্রীদেবী সম্পর্কে ১০ তথ্য
অভিনেত্রী শ্রীদেবীকে হারিয়েছে বলিউড। গতকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) রূপালি পর্দার এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী মাত্র ৫৪ বয়সে ছেড়ে যান এই নশ্বর পৃথিবী। ভারতীয় চলচ্চিত্রের এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকা সম্পর্কে ১০টি তথ্য তুলে ধরা হলো:
১. ভারতের তামিলনাড়ুর শিবকাসিতে ১৯৬৩ সালের ১৩ আগস্ট জন্ম নেন শ্রীদেবী। তাঁর আসল নাম শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গার আয়াপ্পান। তাঁর আইনজীবী বাবা আয়াপ্পান ইয়াঙ্গার ছিলেন একজন তামিল এবং মা রাজেশ্বরী ইয়াঙ্গার ছিলেন একজন তেলেগু। শ্রীদেবীর একজন বোন ও দুজন সৎভাই রয়েছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি অভিনেতা অনিল কাপুরের বড়ভাই বনি কাপুরকে বিয়ে করেন। তাঁদের দুই মেয়ে জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর।
২. শ্রীদেবী চার বছর বয়সে একটি ভক্তিমূলক তামিল চলচ্চিত্র “থুনাইভান”-এ প্রথম অভিনয় করেন। ছবিটি ১৯৬৯ সালে মুক্তি পায়। একজন শিশু অভিনয়শিল্পী হিসেবে মালায়ালম ভাষার “পুমপাত্তা” (১৯৭১) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি “সেরা শিশুশিল্পী” হিসেবে কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
৩. বলিউডে শ্রীদেবীর অভিষেক হয়েছিলো একজন শিশুশিল্পী হিসেবে “জুলি” (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে।
৪. শ্রীদেবী বলিউডে প্রথম নায়িকার চরিত্র পান পরিচালক পি ভারথিরাজার “সলভা সায়ান” (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে। এতে শ্রীদেবীর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন তার দূরসম্পর্কের আত্মীয় অমল পালেকার।
৫. শ্রীদেবী ১৯৮৯ সালে “চালবাজ” চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় “না জানে কাহা সে আয়ি হ্যায়” গানটির শুটিং করেছিলেন ১০৩ ডিগ্রি জ্বর নিয়ে।
৬. অভিনয়ের পাশাপাশি প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে শ্রীদেবী কাজ করেছিলেন “সাদমা” (১৯৮৩), “চাঁদনী” (১৯৮৯), “গরজনা” (১৯৯১) এবং “খনা খনাম” (১৯৯১) চলচ্চিত্রে।
৭. শ্রীদেবী ১৯৯৩ সালে হলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের “জুরাসিক পার্ক” চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলিউডে তাঁর ব্যস্ততার জন্যে।
৮. তামিলভাষী শ্রীদেবী হিন্দি বলতে না পারার কারণে বলিউডে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন। সাবেক অভিনেত্রী কুমারি নাজ শ্রীদেবীর জন্যে ডাবিং করতেন। ১৯৮৬ সালের “আখেরি রাস্তা”-য় শ্রীদেবীর ডাবিং করেছিলেন অভিনেত্রী রেখা। শ্রীদেবী তাঁর “চাঁদনী” চলচ্চিত্রে প্রথম নিজের ডাবিং নিজেই করেছিলেন।
৯. অভিনেত্রী জয়া প্রদাকে শ্রীদেবীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হতো। তাই এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে কখনোই আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারেনি। ‘মাকসাদ’ (১৯৮৪) চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় অভিনেতা রাজেশ খান্না এবং জিতেন্দ্র চেষ্টা করেছিলেন জয়া প্রদা এবং শ্রীদেবীর মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে দিতে। সেসময় তাদের দুজনকে এক ঘরে কিছুক্ষণের জন্যে আটকেও রাখা হয়েছিলো। পরে দরজা খুলে তারা দেখতে পান শ্রীদেবী এবং জয়া ঘরের দুই কোণায় চুপচাপ বসে আছেন।
১০. শ্রীদেবীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র হিসেবে দেখা হয় যে দুটি চলচ্চিত্রকে সেই দুটিতে অভিনয়ের জন্যে তাকে প্রথমে প্রস্তাব করা হয়নি। যেমন, ‘নাগিন’ (১৯৮৬) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যে প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিলো জয়া প্রদাকে। এরপর, ‘চাঁদনী’-তে অভিনয়ের জন্যে প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিলো রেখাকে।
Comments