শর্ত পূরণ করায় বহু-বিতর্কিত ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পাচ্ছে ২৫ জানুয়ারি!
শর্তসাপেক্ষে ভারতীয় সেন্সরবোর্ড থেকে মুক্তি পাওয়া ‘পদ্মাবতী’ ছবিটি নতুন ‘পদ্মাবত’ শিরোনামে পর্দায় আসছে আগামী ২৫ জানুয়ারি।
নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানশালীর কোনও মন্তব্য যুক্ত না করেই ভারতের একাধিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম দাবি করছে, আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে ‘ঐতিহাসিক’ প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিটি।
গত ৫ জানুয়ারি ভারতীয় সেন্সরবোর্ড ছবির প্রযোজনা সংস্থা ভায়াকম-এর কাছে চিঠি দিয়ে তাদের চূড়ান্ত সম্মতির কথা জানায়। এর আগে সেন্সরবোর্ডের দেওয়া শর্ত পূরণ করে নতুন করে ‘পদ্মাবত’ ছবিটি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন পরিচালক বানশালী। এরপরই বোর্ডের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের চিঠি পাঠানো হয়।
ভায়াকমের তরফ থেকেই এই খবরটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
যদিও প্রযোজনা সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভারতীয় গণমাধমে বলা হচ্ছে, ২৬ জানুয়ারি শুত্রুবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস, জাতীয় ছুটি। শনিবার ও রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সপ্তাহে টানা তিনদিন ছুটি পাবেন ভারতের দর্শকরা। সেই ছুটিতে তিনশো কোটি রুপির এই ছবির মুনাফা ঘরে তুলতে চাইছেন টিম বানশালী। আর সেই দিন ধার্য করে বিভিন্ন পরিবেশক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে ভায়াকম।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পহেলা ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘পদ্মাবতী’। ছবির মুখ্যভূমিকায় দীপিকা পাড়ুকোন ছাড়াও রয়েছেন রণবীর সিং, শহিদ কাপুরের মতো নামী অভিনেতা-অভিনেত্রী। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ভারতে কার্ণিসেনা নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে তুমুল প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দেখানো হয়। সংসদীয় বোর্ডের সামনে ডাকা হয় পরিচালক বানশালীকে। যদিও তিনি দাবি করেন, ‘পদ্মাবত’ কবিতা থেকে এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন তিনি। এর সঙ্গে ইতিহাসের কোনও সম্পর্ক নেই। সেই কারণেই তা বিকৃত করার কোনও প্রশ্নই আসেনি। যদিও সংসদীয় কমিটি তাঁর কথায় ভরসা করেনি। ইতিহাসবিদদের নিয়ে একটি কমিটি গড়ে তাঁদের কাঁধেই ‘পদ্মাবতী’-র ভবিষ্যৎ ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই কমিটির পক্ষ থেকে কিছু দৃশ্য ও ঘুমুর নামের অংশটি বিশেষভাবে নির্মাণের শর্ত দিয়ে নাম পরিবর্তন করতে বলা হয়। বলা হয়, যেহেতু ‘পদ্মাবত’ কবিতা থেকে ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে তাই ছবির নাম দেওয়া হোক ’পদ্মাবত’। এতে সেন্সরবোর্ডও সম্মতি জানায়।
জানা গিয়েছে, সেন্সরবোর্ডের শর্ত মেনে ইতোমধ্যেই ঘুমুর গানের বেশ কয়েকটি দৃশ্য নতুন করে শুটিং করে বসানো হয়েছে। এছাড়াও, সতর্ককরণের দুটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে ছবিতে।
Comments