‘পদ্মাবতী’ তৈরির টাকা দুবাই থেকে এসেছে কী না, মোদির কাছে তদন্তের দাবি
বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালির সদ্য নির্মিত ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র ‘পদ্মাবতী’ এবার পড়েছে নতুন এক প্রশ্নের মুখে। প্রশ্নটি তুলেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের বিশিষ্ট নেতারা।
দলটির একজন বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যসভার সদস্য সুব্রামনিয়ান স্বামী সম্প্রতি দাবিই করে বসেছেন যে বানশালির ‘পদ্মাবতী’ তৈরির টাকা দুবাই থেকে এসেছে।
এর প্রতিবাদে তিনি বিহার রাজ্যের রাজধানী পাটনায় ‘পদ্মাবতী’-বিরোধী এক সমাবেশের আয়োজন করেন। সেখানে বানশালির কুশপুত্তলিকাও পুড়ানো হয়।
সুব্রামনিয়ানের এমন দাবির প্রেক্ষিতে অপর বিজেপি নেতা এবং দেশটির সেন্সর বোর্ডের একজন সদস্য অর্জুন গুপ্ত জানতে চেয়েছেন ঘটনাটি সত্যি কী না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে লেখা এক চিঠিতে অর্জুন অনুরোধ করেছেন যে সরকারি তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-কে দিয়ে বিষয়টির তদন্ত করা হোক। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
অপর এক চিঠিতে তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে লিখেছেন, “শুধু রাজপুত সম্প্রদায়ই নয়, গোটা ভারত আজ ‘পদ্মাবতী’ মুক্তির বিরুদ্ধে। তাই এর বিহিত না করলে অন্য পরিচালকরাও এমন চলচ্চিত্র বানাতে উৎসাহ পাবেন।”
এছাড়াও, অন্যান্য বিজেপি নেতার মতো তাঁরও দাবি নিষিদ্ধ করা হোক ‘পদ্মাবতী’ এবং ইতিহাস বিকৃতির কারণে বানশালির বিচার করা হোক ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা’-র মামলায়।
উল্লেখ্য, ১৪ শতকের রাজপুত রানি পদ্মিনীর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘পদ্মাবতী’-তে ইতিহাসের বিকৃতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাজপুত সম্প্রদায়সহ ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয়-রাজনৈতিক দল।
দলগুলোর পক্ষ থেকে ছবিটির পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানশালি এবং এতে অভিনয় করার জন্যে দীপিকা পাড়ুকোনকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
Comments