‘পদ্মাবতী’ নিয়ে টালিগঞ্জে স্ট্রাইক: প্রসেনজিৎ
বিতর্কিত ছবি আগেও হয়েছে এখনও করছেন নির্মাতারা; কোনও দৃশ্যের নেতিবাচক কোনও প্রভাব মনে করা হলে সেটি দেখবে ভারতের সেন্সর বোর্ড কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, এখন তো মনে হচ্ছে ছবি তৈরি করার পর সেন্সর বোর্ড নয়; ভারতের বিশেষ কিছু মানুষকেই তা দেখাতে হবে। তারাই অনুমোদন দেবেন কিংবা দেবেন না।
আজ (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে সংবাদ সম্মেলনে ‘পদ্মাবতী’ চলচ্চিত্র নিয়ে চলমান বিতর্কে এভাবে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ।
প্রসেনজিৎ আরো বলেন, “সঞ্জয় লীলা বানশালির ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে যেভাবে কিছু মানুষ বেফাঁস মন্তব্য করছেন সেটি গণতন্ত্রের জন্য খুবই লজ্জার। মানুষের স্বাধীন-মত প্রকাশেরও বিরুদ্ধ। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হওয়া উচিত। আর সে কারণে টালিগঞ্জের সকল কলাকুশলীরা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ১৫ মিনিটের ‘টোকেন স্ট্রাইক’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
‘পদ্মাবতী’ ছবি নিয়ে বিতর্কে এবার বলিউডের সঙ্গে কলকাতার টালিগঞ্জ বা টালিউডও যুক্ত হল। এদিন সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির নাম না করে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেন্সর বোর্ডেরও সমালোচনা করেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা গৌতম ঘোষ।
তিনি বলেন, “এখন প্রত্যেক মানুষের হাতে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চির কম্পিউটার রয়েছে। ইচ্ছে করলে যা খুশি দেখতে পারেন যে কেউ। মানুষের স্বাধীনতা এটিই। এটিই বর্তমান যুগ। কিন্তু, কিছু মানুষের মাথা এখনও মধ্যযুগেই পড়ে রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “চলচ্চিত্রটি নিয়ে যেভাবে ‘কু-কথা’ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তা চলচ্চিত্র প্রেমী হিসেবে আমাকেও লজ্জা দিচ্ছে।”
‘পদ্মাবতী’ নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের মধ্যে সম্প্রতি টুইট করে ছবিটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে প্রদর্শনের জন্য নির্মাতা বানশালিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর ঠিক সে কারণে হরিয়ানার শীর্ষ বিজেপি নেতা সুরজপাল আমুর নিশানায় পড়েন মমতাও। ধর্মীয় একটি ঘটনার ইঙ্গিত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নাক কাটার পরামর্শও দিয়েছিলেন ওই বিজেপি নেতা।
এমন মন্তব্যে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বও চরম অস্বস্তিতে পড়ে। বিজেপির শীর্ষ নেতা কৌলাশ বিজয়বর্গী বলেন, একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য দল কোনোভাবে মেনে নেবে না।
তবে বাস্তবতা হচ্ছে, সুরজপাল আমুর বিরুদ্ধে বিজেপি আজ পর্যন্তও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরো পড়ুন:
Comments