ম্যাচ বাঁচানোর আশায় আছে বাংলাদেশ
এখনো ম্যাচের বাকি পুরো দুই দিন। পচেফস্ট্রমে ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে গেছে ২৩০ রানে। ওদের হাতে ৮ উইকেট। তবু ম্যাচ বাঁচানোর আশায় আছে বাংলাদেশ। নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলে তাগদ নিয়েই ম্যাচে থাকতে চায় টাইগাররা, তৃতীয় দিন শেষে গণমাধ্যমে এমনটাই বলে গেছেন মুমিনুল হক।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে সাদা পোশাকের দলে বাতিল করা হয়েছিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুমিনুল হককে। মোসাদ্দেক সৈকতের চোটে মুমিনুল তবু অস্ট্রেলিয়া সিরিজেই ফিরেছিলেন। মাহমুদউল্লাহ থেকেছেন দলের বাইরে। সাকিব আল হাসানের বিশ্রাম জনিত কারণে সুযোগ মিলে তারও। দলে ফেরা দুই তারকাই বাংলাদেশের বেলাশেষের নায়ক। মুমিনুল করেছেন ৭৭ রান। আউট হওয়ার আগে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬ রান। ভেতরে ভেতরে তারা নিশ্চয়ই তেতে ছিলেন। দুজনেই তাই দিয়েছেন উপেক্ষার জবাব। ভাগ্যিস দিয়েছিলেন। না হয় দল ফলোঅনে তো পড়তই। ইনিংসের কি ছিরি হতো ভাবাই দায়! দলের ৩২০ রানের ১৪৬ রানই যে তাদের ব্যাট থেকে।
১৭৬ রানে এগিয়ে থেকে ডু প্লেসির দল দ্বিতীয় ইনিংসে হাত খুলে লিড বাড়াতে চাইবে জানাই ছিলো। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে তাল পেয়েছেন বাংলাদেশি পেসাররা। খুব বেশি আলগা বল দেননি। ফলও মিলেছে হাতেনাতে। ৩৮ রানে দুই উইকেট হারানো স্বাগতিকরা আলো স্বল্পতায় খেলা বন্ধের আগে ৫৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ডিন এলগারকে স্যুয়িংয়ে ভড়কে আউট করেছেন শফিউল ইসলাম। উইকেট নিতে মরিয়া মোস্তাফিজুর রহমান কসরত করে আউট করেছেন এইডেন মার্কারামকে।
চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের চাওয়া কি। ডিফেন্সিভ না অ্যাটাকিং। কোন অ্যাপ্রোচে খেলবে দল। সব খোলাসা করেছেন মুমিনুল হক, "যদি কাল আমরা ভালো বোলিং করি ওদের ওদের অলআউট করা সম্ভব হবে।… আপনি যদি নেতিবাচক চিন্তা করেন, ওরা ইনিংস ঘোষণা করবে তার জন্য বসে থাকবেন, তাহলে কিন্তু ব্যাকফুটে চলে যাবেন। ওরা চেষ্টা করবে ভালো ব্যাটিং করার, আমরা চেষ্টা করবো ভালো লাইন-লেংথে বোলিং করে ওদের অলআউট করার।”
বাংলাদেশ যদি খুব ভালো বোলিংও করে দক্ষিণ আফ্রিকা পক্ষে আরও অন্তত দেড়শ রান তুলে নেওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে টার্গেট ছাড়িয়ে যাবে সাড়ে তিনশ রান। ম্যাচ বাঁচাতে হলেও ব্যাট করতে হবে তিন সেশনের বেশি। জিততে হলে তো গড়তে হবে রেকর্ড। মরনে মরকেল, কাগিসো রাবাদাদের পেস সামলে অতটা কি পারবে বাংলাদেশ? আশা ছাড়ছেন না মুমিনুল, "উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো আছে। আমরা হয়তো সারা দিন ব্যাটিং করতে পারব।"
ম্যাচের যাই হোক প্রোটিয়া ডেরায় গিয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো ফলটা কালই নিশ্চিত হয়ে গেছে। আগের চারবারের মতো এবার ইনিংস ব্যবধানে তো হারছে না বাংলাদেশ। তবে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কাছে ইনিংস হার মানে বিপর্যয়। বিপর্যয় এড়ানোয় স্বস্তি থাকতে পারে, তৃপ্তি থাকবে না নিশ্চিত। আর ম্যাচ বাঁচাতে পারলে কেবল তৃপ্তি নয়, থাকবে গর্বও। মিলবে আত্মবিশ্বাস।
Comments