‘ইচ্ছে নদী’-র অভিনেতা বিক্রম কি গ্রেফতার হচ্ছেন?
টালিউড জুড়ে একই গুঞ্জণ! মদপান করে গাড়ি চালানোর অপরাধে কি শেষ পর্যন্ত গ্রেফতারই হবেন ছোট্ট পর্দার বড় নায়ক বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বা “ইচ্ছে নদী”-র অনুরাগ?
গাড়ি দুর্ঘটনায় বান্ধবী সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুর পর এক সপ্তাহ জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও কলকাতায় তাঁর বন্ধুমহল থেকেই তুমুল প্রতিবাদের ঝড় বইছে। প্রতিবাদের সুর চড়া হতে হতে এতোটাই চড়া হয়ে গিয়েছিল যে অসুস্থ অভিনেতা বিক্রমকে জেরা করতে বাধ্য হয় পুলিশ।
গত সোম থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ৭২ ঘন্টায় তিনবার ওই অভিনেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল টালিগঞ্জ থানার তদন্ত কেন্দ্রে। এর আগে, সোনিকা চৌহানের মৃত্যুর রহস্য সন্ধানে মঙ্গলবারই গঠিত হয় গোয়েন্দাদের বিশেষ দল। আর সেদিন থেকে দফায় দফায় ডাকা হচ্ছে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। এমনকি, বিক্রম এবং সোনিকার কয়েকজন বন্ধুকে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা।
কলকাতার গণমাধ্যমের খবর, পুলিশের জেরায় বিক্রম নিজেই স্বীকার করেছেন দুর্ঘটনার রাতে বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে মদপান করেছিলেন। নয়দিন আগে সংগ্রহ করা বিক্রমের রক্তের নমুনা আবারও বেশ কিছু পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলেও গণমাধ্যমগুলোর দাবি।
এদিকে, চলমান বির্তকের মধ্যেই বিক্রম আবার শুটিংয়ে ফিরেছেন। সোমবার থেকে নিয়মিত টালিগঞ্জে “ইচ্ছে নদী”-র শুটিং সেটে যাচ্ছেন। যদিও বান্ধবীর মৃত্যুর শোকের মধ্যে বিক্রমের শুটিংয়ে ফেরা নিয়ে তাঁর বন্ধুরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করছেন। তবে বিক্রমের দাবি, মেগা সিরিজটি এতোটাই জনপ্রিয় যে তাঁর শুটিংয়ে না ফিরলে গোটা দলের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। আর দর্শকদের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অসুস্থ হওয়ার পরও টালিগঞ্জের সেটে ফিরেছেন তিনি।
গত ২৯ এপ্রিল ভোররাতে মুম্বাইয়ের মডেল ও অভিনেত্রী বান্ধবী সোনিকা সিংহ চৌহানকে নিয়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। দুর্ঘটনায় সোনিকার মৃত্যু হয়। মাথায় আঘাত পান বিক্রম।
১ মে সোনিকার পরিবারের পক্ষ থেকে টালিগঞ্জ থানায় বিক্রমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই সেলেব্রেটি মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু বিক্রমের গাড়ি দুর্ঘটনার এই খবর।
Comments