অক্ষয়ের জাতীয় পুরস্কার প্রশ্নবিদ্ধ

akshay kumar

ত্রিশ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে একমাত্র পুরষ্কারটিও প্রশ্নবিদ্ধ হলো। এমনই দুর্ভাগ্য অক্ষয় কুমারের।

১৯৮৭ সালে ‘আজ’-এ একটি ছোট চরিত্র দিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু। মূল চরিত্রে প্রথম আসেন ১৯৯১ সালের ‘সুগান্ধ’ সিনেমায়। এরপর, একে একে ১২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। অর্থাৎ বছরে গড়ে প্রায় ৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু অভিনয়ের জন্য কোন ‘খেতাব’-ই ধরা দিচ্ছিল না অক্ষয়ের হাতে।

সেই আক্ষেপটি এবার পূর্ণ হলেও তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। এবছর অক্ষয় সেরা অভিনেতা হিসাবে পেয়েছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কার। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রুস্তম’-এ অভিনয়ের জন্য এই প্রাপ্তি।

জাতীয় পুরস্কার জুরি প্রধান বিশিষ্ট পরিচালক প্রিয়দর্শন অভিনেতা অক্ষয়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এবারের সেরা অভিনেতার পুরস্কারটি নিয়ে। ‘হেরা ফেরি’, ‘গরম মাসালা’, ‘ভাগম ভাগ’, ‘ভুল ভুলাইয়া’ ও ‘দে ধনাধন’-সহ বিভিন্ন সিনেমায় তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন। তাই প্রিয়দর্শনকে জবাব দিতে হচ্ছে কেন ‘দঙ্গল’-এর আমির ও ‘আলিগড়’-এর মনোজ বাজপাইয়ের পরিবর্তে অক্ষয়কে দেওয়া হলো এই পুরস্কারটি।

গণমাধ্যমকে প্রিয়দর্শন বলেন, “অক্ষয় কুমার এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য তাই আমরা তাঁকে পুরস্কারটি দিয়েছি। জুরি বোর্ডে ৩৮জন সদস্য ছিলেন। এতোগুলো মানুষের সিদ্ধান্ত কি করে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে?”

তিনি আরও বলেন, “গতবছর রমেশ সিপ্পি জুরি প্রধান ছিলেন। তিনি যখন ‘পিকু’ সিনেমার জন্য অমিতাভ বচ্চনকে সেরা অভিনেতার পুরস্কার দেন তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেননি?”

প্রসঙ্গত, পরিচালক রমেশ সিপ্পির সঙ্গে অমিতাভ বচ্চনের দহরম-মহরম রয়েছে।

পুরস্কার পাওয়ার সুখবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অক্ষয় শেয়ার করেন উচ্ছ্বাস ভরা বার্তা।

 

যাঁরা পেলেন ভারতের জাতীয় পুরস্কার

সেরা অভিনেতা: অক্ষয় কুমার (রুস্তম)

সেরা অভিনেত্রী: সুরভি সিএম (মিন্নামিনুনগে)

সেরা ছবি: কসাব

সেরা পরিচালক: রাজেশ মাপুস্কর (ভেন্টিলেটর)

সেরা সহঅভিনেতা: মনোজ যোশী (দশক্রিয়া)

সেরা সহঅভিনেত্রী: জাইরা ওয়াসিম (দঙ্গল)

সোশ্যাল ইস্যুর ওপর সেরা ছবি: পিঙ্ক

পরিবেশ সচেতনতার ওপর সেরা ছবি: দ্য টাইগার হু ক্রসড দ্য লাইন

সেরা হিন্দি ফিচার ছবি: নীরজা

সেরা বাংলা ছবি: বিসর্জন

সেরা মারাঠি ছবি: দশক্রিয়া

সেরা কন্নড় ছবি: রিজার্ভেশন

সেরা শিশুদের ছবি: ধনক

সেরা ভিএফএক্স: অজয় দেবগণের ছবি শিবায়

সেরা মহিলা প্লেব্যাক গায়িকা: ইমন চক্রবর্তী (তুমি যাকে ভালবাস)

সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক: সুনন্দ লয়ার (জোকার)

সেরা গীতিকার: অনুপম রায়

ইন্দিরা গান্ধি পুরস্কার ডেব্যু পরিচালক: (বাংলা ছবি) খলিফা

সেরা অ্যাকশন ডিরেক্টর এবং স্টান্ট কোরিওগ্রাফি: পিটার হাইনেস

সেরা সম্পাদক ও সাউন্ড মিক্সিং: ভেন্টিলেটর

সেরা অ্যানিমেশন: মহাযোদ্ধা রাম

সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন: (তামিল ছবি) টোয়েন্টিফোর

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

4h ago