দেশে দুই জায়গায় বার্ড ফ্লু সনাক্ত

গত সপ্তাহে দেশের দুই জায়গায় মুরগির খামারে সংক্রামক এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লু ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিম্যাল হেলথ (ওআইই) ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ছবি: রয়টার্স

গত সপ্তাহে দেশের দুই জায়গায় মুরগির খামারে সংক্রামক এইচ৫এন১ বার্ড ফ্লু ভাইরাস সনাক্ত করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিম্যাল হেলথ (ওআইই) ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সোমবার রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

প্যারিসভিত্তিক ওআইই জানায়, ঢাকার বাইরে ধামরাইয়ে একটি মুরগি খামারে বার্ড ফ্লুর প্রথম ঘটনাটি ধরা পড়ে। ওই খামারের প্রায় তিন হাজার সোনালি জাতের মুরগি ছিলো। ফ্লু আক্রান্ত হয়ে সেখানকার ৭৩২টি মুরগি মারা গেছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বাকি মুরগিগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।

বার্ড ফ্লুর অপর ঘটনাটি ধরা পড়েছে রাজশাহীতে। সেখানে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৪৫০টি মুরগি মারা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। পাখি মরতে দেখলে আমাদের খবর দিতে হবে।” এখন পর্যন্ত কোন মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হননি বলেও তিনি জানিয়েছেন।

২০০৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় ১০ লাখের বেশি হাঁস-মুরগি হত্যা করা হয়েছিল।

গত বছরের শেষ দিক থেকে ইউরোপ ও এশিয়াজুড়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বার্ড ফ্লু ভাইরাস ছড়িয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি দেশে গণহারে পোলট্রি নিধন করা হয়। সেই সঙ্গে চীনে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

গত সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের সব দেশকে হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য পাখি মধ্যে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হলে তা দ্রুত জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।

চীনে ছড়ানো এইচ৭এন৯ বার্ড ফ্লু ভাইরাসের মতই এইচ৫এন১ ভাইরাসও মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই ভাইরাসে মারা যাওয়া পাখির সংস্পর্শে এলে তা মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। তবে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ছড়ানো এইচ৫এন৮ মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় না।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

16h ago