আগে ঘুষ দিতাম ১ লাখ, এখন দিই ৫ লাখ টাকা: ব্যবসায়ীর বরাতে মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর। ছবি: সংগৃহীত

নাম উল্লেখ না করে এক বড় ব্যবসায়ীর বরাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'আগে ঘুষ দিতাম এক লাখ টাকা, এখন দিই পাঁচ লাখ টাকা।'

আজ শনিবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমানের লেখা 'অর্থনীতি, শাসন ও ক্ষমতা: যাপিত জীবনের আলেখ্য' বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মির্জা ফখরুল বলেন, 'আগের সরকারের কোনো জবাবদিহিতা ছিল না—এটা আমার চাইতে আপনারা অনেক বেশি ভালো জানেন। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি, বারবার আমরা রাস্তায় নেমেছি, বারবার কথা বলছি, মানুষকে সংগঠিত করার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটা পরিবর্তন নিয়ে এসে আবার একটা সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার।'

তিনি বলেন, 'নতুন করে জাতি নির্মাণের কথা যখন বলি, তখন আমার মনে হয় যে এটা কি ডাক্তারের এন্টিবায়োটিক দেওয়ার মতো?—এন্টিবায়োটিক দিলো আর ঠিক হয়ে গেল! সেটা তো না। আমি মনে করি, হতাশ হওয়ার খুব বেশি কারণ নেই। সমস্যা আছেই, প্রতিদিন নেগেটিভ সব কথাবার্তা আসছে মিডিয়ায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটা ভয়াবহতা এই সমাজকে গ্রাস করে ফেলছে।'

উপস্থিত উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, 'মব তৈরির যে ব্যাপারটা, সেটা কীভাবে সরকারকে মাঝে মাঝে আক্রমণ করছে, দেখছেন।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'শাসনের ক্ষেত্রে, সচিবালয়ে কিছুটা থাকতে পারে, বাইরে খুব বেশি কিছু নেই। সবাই মিলে সহযোগিতা করছে বলে চলছে। গতকালই এক বড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি বলছেন, আগে ঘুষ দিতাম এক লাখ টাকা, এখন দিই পাঁচ লাখ টাকা। আমি জানি না এটাকে কীভাবে দেখবেন।'

পুলিশের বিষয়ে তার মন্তব্য, 'পুলিশের কোনো পরিবর্তনই হয়নি। বরং তারা সুযোগ নিচ্ছে—একবার বলে যে মিলিটারির কাছে যাও, আরেকবার বলে কোর্টে যাও। এভাবে পুলিশ দায়িত্ব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। তাদের আসলে কনফিডেন্সই নেই। কারণ, তারা ওই বিগত সরকারের সমস্ত অপকর্মগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। ফলে এই জিনিসটা এত সহজ নয়'

'কাজেই রাতারাতি সবকিছু বদলে ফেলতে পারবো না। আবার তাই বলে, দীর্ঘকালের জন্য গণতান্ত্রিক চর্চাটাকে বাদ দিয়ে এটাকে ঠিক করার জন্য কাজ করতে থাকব, এটাও ঠিক না,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

1h ago