‘উদ্ধারকাজে যোগ দিলেও বুঝিনি আমার ভাতিজিও সেখানে ছিল’

ফাতেমা আক্তার আনিশা। ছবি: সংগৃহীত

'মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন আমি কাছাকাছিই ছিলাম। তৎক্ষণাৎ আমিও ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে যোগ দেই। তখনো বুঝতে পারিনি আমার ভাইয়ের মেয়েও সেখানেই আছে।'

কথাগুলো বলছিলেন উত্তরার ওই দুর্ঘটনায় নিহত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার আনিশার (৯) চাচা সৈয়দ নোমান হোসেন।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের কুনিয়া গ্রামে যখন ফাতেমার মরদেহ পৌঁছায়, তখন গোটা এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাড়ির আঙ্গিনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্বজন-প্রতিবেশীরা। সবাই সেখানে জড়ো হয় ফাতেমাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার জন্য।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মা ও ছোট দুই ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকায় থাকত ফাতেমা। তার বাবা বনি আমিন কুয়েতপ্রবাসী, মা রূপা একজন গৃহিণী। দুর্ঘটনার খবর শুনেই তার বাবা কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুনিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে ফাতেমা মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ফাতেমার বাবা আমিনের মামাত ভাই নোমান আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আমরা ফাতেমার মরদেহ শনাক্ত করি এবং বাড়িতে নিয়ে আসি।

ফাতেমার ফুফু ইয়াসমিন আক্তার বলেন, দুর্ঘটনার পরে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিএমএইচে আমরা ওর মরদেহ পাই। রাত ৩টার দিকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা হই।

সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

4h ago