ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ভাইয়ের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

thakurgaon
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি মহাসচিবের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় সমিরউদ্দীন স্মৃতি কলেজ মাঠে বিএনপির সম্মেলনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানিয়েছে, মির্জা ফয়সল ফলাফল ঘোষণা করে সম্মেলনস্থল ত্যাগ করার সময় বিএনপির একদল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী হামলা চালায়। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টিএম মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে দুপুর থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সভাপতি পদে তিনজন—সৈয়দ আলম, আবু হায়াত নুরুন্নবী ও দারুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে ৪৯০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮৮ জন ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে তিনটি ভোট বাতিল হয়।

সৈয়দ আলম পেয়েছেন ২৪৪ ভোট, আবু হায়াত নুরুন্নবী ২৪০ ভোট ও দারুল ইসলাম পেয়েছেন একটি ভোট। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে তিনি (টিএম মাহবুবুর রহমান) ২৮৯ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম ১৯৪ ভোট পেয়েছেন।

অভিযোগ ওঠে, সভাপতি পদে সৈয়দ আলম ও আবু হায়াত নুরুন্নবী উভয়ই ২৪২ ভোট পেয়েছেন—এমন একটি কাগজ তৈরি করা হয়েছে। এ নিয়ে ভোট কক্ষের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টায় মির্জা ফয়সল সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সৈয়দ আলমকে সভাপতি ও তাকে (টিএম মাহবুবুর রহমান) সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন, বলেন তিনি।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, মির্জা ফয়সল সম্মেলনস্থল ত্যাগ করার সময় বিএনপির একদল বিক্ষুব্ধ কর্মী তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে কথা বলতে মির্জা ফয়সল আমিনের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় রাজু চৌধুরী সভাপতি ও টিএম মাহবুবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২২ সালে রাজু চৌধুরীর মৃত্যুর পর সৈয়দ আলম ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

13h ago