নির্বাচন নেই বলে আজকে দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটছে: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকায় মাথা থেঁতলে হত্যাকাণ্ডসহ কয়েকটি ঘটনার অতিদ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ শনিবার বিকেলে গুলশানে হোটেল লেকশোরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই দাবি জানান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সরকারকে আহ্বান জানাব, অতিদ্রুত তদন্ত করে যারা প্রকৃত অপরাধী তাদেরকে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না। জাতি আপনাদেরকে দায়ী করবে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নেওয়ার সময় এসব সমস্যা তৈরি করার জন্য।

বিএনপি কোনোদিন অন্যায়কে সমর্থন করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আর কিছুদিন ধৈর্যের সঙ্গে আপনারা অপেক্ষা করুন গণতন্ত্রের জন্যে এবং সবাইকে বিরত রাখুন, কেউ যেন অন্যায় কাজ করতে না পারে। বিএনপি কোনোদিন কোনো অন্যায়কে সমর্থন করেনি, কখনো করবে না। বিএনপি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অতীতেও করেছে, এবারও করবে।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অমর শহীদদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে বাংলাদেশে রাষ্ট্রব্যবস্থা, রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন করে একটা নির্বাচন দ্রুত চাই। কারণ গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নাই। আর গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন নেই বলে আজকে দেশে এই ঘটনাগুলো ঘটছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে, মৃত্যু বাড়ছে, দুর্বৃত্তরা সুযোগ নিচ্ছে। কারণ তাদের পেছনের জনগণের সমর্থন নেই। কিন্তু একটা নির্বাচিত সরকার এলে নিঃসন্দেহে সেটা শক্তিশালী সরকার হবে।

'আমি আবারও এই আশার কথা বলতে চাই যে, আমরা নিশ্চয়ই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।'

ছাত্রদলের আত্মত্যাগকারীর শহীদদের নিয়ে একটি পুস্তক তৈরি করার পরামর্শ দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে শহীদদের যথাযথ সম্মান দেবে।

জুলাই-আগস্টের শহীদ এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আবারও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago