১৩০৩ বলে ১০০০ রান পূর্ণ করে চূড়ায় স্মিথ

ছবি: এএফপি

৯৯৭ রান নিয়ে খেলতে নামলেন ব্যাট হাতে ছন্দে থাকা ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ। মুখোমুখি হওয়া পঞ্চম বলে ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজকে পয়েন্ট দিয়ে চার মারলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পথে একটি রেকর্ডের চূড়ায় উঠে গেলেন তিনি।

অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট চলছে ক্রিকেটের তীর্থস্থান খ্যাত লর্ডসে। শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ইংলিশদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩৮৭ রানে। আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৫১ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল দলটি। দিনের তৃতীয় ওভারে ক্রিজে যাওয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটার স্মিথ খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। ৫৬ বল মোকাবিলায় ছয়টি চার আসে তার ব্যাট থেকে।

টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে কম বল খেলে ১ হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন স্মিথ। ২৪ বছর বয়সী তারকার লেগেছে ১ হাজার ৩০৩ বল। এতদিন রেকর্ডটির মালিক ছিলেন পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ। তার লেগেছিল ১ হাজার ৩১১ বল। তিন নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ১ হাজার ৩৩০ বলে ১ হাজার রান ছুঁয়েছিলেন।

১ হাজার রান করতে ২১ ইনিংস লেগেছে স্মিথের। ফলে আরেকটি রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ডানহাতি ব্যাটার। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্রুততম ১ হাজার রানের যৌথ মালিক এখন তিনি। তার মতো ২১ ইনিংস দরকার পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের।

এই তালিকায় যৌথভাবে দুইয়ে আছেন ইংল্যান্ডে জনি বেয়ারস্টো ও শ্রীলঙ্কার দীনেশ চান্দিমাল। তারা দুজন ১ হাজার ছুঁয়েছিলেন ২২ ইনিংস। যৌথভাবে তিনে থাকা শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা ও দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের লেগেছিল ২৩ ইনিংস।

গত বছরের জুলাইতে লর্ডসেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় স্মিথের। দারুণ ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের একাদশে জায়গা পাকা করতে একদমই সময় নেননি তিনি। এখন পর্যন্ত ১৩ টেস্টের ২১ ইনিংসে ৫৮.২২ গড়ে তার সংগ্রহ ১০৪৮ রান। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ছয়টি হাফসেঞ্চুরি আছে তার নামের পাশে।

ভারতের বিপক্ষে চলমান পাঁচ টেস্টের সিরিজেও হেসে যাচ্ছে স্মিথের ব্যাট। হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ের পথে করেন ৪০ ও অপরাজিত ৪৪ রান। এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে দলটি হারলেও তার অপরাজিত ১৮৪ ও ৮৮ রানের ইনিংস আদায় করে নেয় প্রশংসা।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago