বিদ্যমান দলগুলো দেশ পুনর্গঠন করতে পারলে এনসিপি গঠনের প্রয়োজন হতো না: নাহিদ ইসলাম

নড়াইলে পথসভায় নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠন সম্ভব হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের প্রয়োজন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

এনসিপির 'দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা' অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নড়াইলে এক পথসভায় এ মন্তব্য করেন নাহিদ।

তিনি বলেন, 'এনসিপি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা তরুণদের নেতৃত্বে একটি দল। গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র-তরুণ-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল নিজের জীবন দিয়ে। এই লড়াইয়ে নড়াইলের ২-৩ জন শহীদ আছেন।'

শহীদ ও আহতদের স্মরণ করে নাহিদ বলেন, 'এক বছর হয়ে গেছে আমরা তাদের আত্মত্যাগকে যথাযথভাবে সম্মান দেখাতে পারিনি। এই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমাদের স্বপ্ন ছিল দেশটাকে নতুনভাবে গড়ে তুলব।'

'নতুন দল করা আমাদের লক্ষ্য ছিল না। আমাদের লক্ষ্য ছিল এই দেশটাকে পুনর্গঠন করা। এই দেশটাকে ভালোমতো তৈরি করা। বিদ্যমান যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, যদি তাদের নেতৃত্বে দেশ পুনর্গঠন হওয়া সম্ভব হতো, তাহলে হয়ত আমাদের দল করার প্রয়োজনই হতো না,' যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমরা গণঅভ্যুত্থানের পরে ৭-৮ মাস দেখেছি, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে ক্ষমতার জন্য আসন ভাগবাটোয়ারার জন্য ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিল। একটা গণঅভ্যুত্থানকে তারা গণঅভ্যুত্থান হিসেবে স্বীকার করতে চায় না। তারা মনে করে শুধু ক্ষমতার পরিবর্তনের জন্যই এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।'

'এক বছরও যখন আমরা পাইনি সেই আমাদের আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ, ফলে আমরা রাস্তায় নেমেছি আবার। আমরা আপনাদের কাছে যাচ্ছি নতুন দেশ গড়ার আহবান নিয়ে,' বলেন তিনি।

নড়াইলবাসীর উদ্দেশে নাহিদ বলেন, 'আপনারা সকল রাজনৈতিক দলকে দেখেছেন। এই নতুন তরুণ নেতৃত্ব বিকল্প নেতৃত্ব তৈরি হয়েছে, যারা আপনার কথা বলতে চায়। এখন আপনাদের সামনে সুযোগ এসেছে নতুন একটি শক্তির উত্থান ঘটাতে। আমরা চাই সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এই দেশটাকে গড়ে তুলব।'

তিনি আরও বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আমরা বলেছি গণহত্যার বিচার, দেশের মৌলিক সংস্কার এবং নতুন সংবিধান লাগবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা সেই ৩টির কোনো একটি সম্পূর্ণভাবে আদায় করতে পারিনি। সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধানের থেকে নির্বাচন নিয়ে তড়িঘড়ি করছি। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, নির্বাচন আমরাও চাই। বিচার, সংস্কার এবং নতুন সংবিধানের মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।'

'বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে পুরা বাংলাদেশে যাচ্ছি। এর পাশাপাশি সংস্কারের জুলাই সনদ এবং অভ্যুত্থানের জুলাই ঘোষণাপত্রের কথাও বলছি। আগস্টে শহীদ মিনারে আমরা জড়ো হব আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদের জন্য,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Exporters to get Tk 108.5 for a dollar from Aug 1

Taka gains against dollar after years

Taka gains ground as dollar influx rises, strengthening currency after years

1h ago