গত ৩ নির্বাচনকে সার্টিফিকেট দেওয়া বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দেওয়া হবে না: সিইসি

এ এম এম নাসির উদ্দিন। ছবি: স্টার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা যারা গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনকে 'বিশ্বাসযোগ্য' বলে বৈধতা দিয়েছিল তাদের আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেওয়া হবে না।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।

সিইসি বলেন, যে পর্যবেক্ষকেরা গত তিনটা নির্বাচনকে সার্টিফিকেট দিয়েছে যে খুব সুন্দর নির্বাচন হয়েছে, ক্রেডিবল নির্বাচন হয়েছে তাদেরকে কি আমাদের নেওয়া উচিত? আমরা দেখেশুনেই নেব। যারা নির্ভরযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও যাদের অভিজ্ঞতা আছে। বিভিন্ন দেশে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে তাদের আমরা নেব। তবে যারা গত তিনটা নির্বাচনকে সার্টিফিকেট দিয়েছে তাদেরকে ছাড়া।

আগামী নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক কেমন আসতে পারে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, তারা আশা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবেন।

বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এরইমধ্যে অনুরোধ করেছি পর্যবেক্ষক হিসেবে আসার জন্য।

ভোটের সময়সীমা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আপনারা যতটুকু জানেন আমিও তাই জানি। যেদিন ভোট হবে তার দুই মাস আগে আমি আপনাদের জানিয়ে দেব।'

কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে তিনি জানান, আমরা নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছি।

সিইসি বলেন, কানাডা চায় এখানে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়।  

আমাদের ভোটার রেজিস্ট্রেশনে আমরা নারী ভোটারদেরকে কতটা ইনক্লুড করতে পেরেছি সেটাতে কানাডিয়ান হাইকমিশনার গুরুত্ব দিয়েছেন। পার্বত্য এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর ক্যাম্পেইন কীভাবে করা হবে সেটা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি আমাদের পরিকল্পনা আছে।

সিইসি বলেন, আরেকটা বিষয় ওনাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে এআই'র অ্যাবিউজ ও মিসইউজ সম্পর্কে।

সিইসি বলেন, এআইয়ের মিসইউজ আমাদের জন্য অনেক বড় হুমকি। আমরা এজন্য তাদের সহায়তা চেয়েছি। কীভাবে এই বিষয়টি মোকাবিলা করা যায়। গতবছর কানাডাতে নির্বাচন হয়েছে। তাই এ ধরনের ইস্যু তাদের ফেস করতে হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতাপ্রসূত সাজেশনগুলো আমরা তাদের কাছ থেকে চেয়েছি তারা দেবে বলে জানিয়েছে।

তিনি জানান, বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এই বিষয়টি দেখছি এবং কাজ করছি।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago