জরুরি অবস্থা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করতে সবাই একমত: আলী রীয়াজ

আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, 'জরুরি অবস্থা ঘোষণা কোনো পরিস্থিতিতেই যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত না হয়, সেটা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।'

তিনি জানান, বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদের (ক), (খ), (গ) এর সমস্ত কিছুর ক্ষেত্রে সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করার ব্যাপারেও দলগুলো একমত।

আজ সোমবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১০ম দিনের আলোচনার শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

সভায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আজ জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ- এ দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷ বিদ্যমান সংবিধানের ১৪১ নং অনুচ্ছেদে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়টি আছে, যা নিয়ে অতীতে খুব বেশি আলোচনার সুযোগ ছিল না। আজ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

'পূর্ববর্তী আলোচনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ঐকমত্য কমিশন হতে জরুরি অবস্থা ঘোষণার বিষয়ে সংশোধিত প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে পরবর্তী সভায় অধিক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। ভবিষ্যতের আলোচনায় সুস্পষ্টভাবে বলা যাবে এ ব্যাপারে কতটুকু একমত হওয়া গেছে।'

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলো উপজেলা পর্যায়ে পর্যায়ক্রমে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একমত পোষণ করেছে বলে জানান তিনি।

'তবে দল এবং জোটগুলো অধস্তন আদালত সম্প্রসারণের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেছে। যেমন, সদর উপজেলার আদালত জেলা জজকোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত রেখে সুনির্দিষ্ট করে দিতে হবে। বিদ্যমান চৌকি আদালত, দ্বীপাঞ্চল এবং ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত আদালত বহাল রেখে এর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে।'

আলী রীয়াজ বলেন, জেলা সদরের কাছাকাছি উপজেলার নতুন আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জরিপের দরকার। অবশিষ্ট উপজেলাগুলোর জনসংখ্যার ঘনত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট, যাতায়াত ব্যবস্থা, দূরত্ব, অর্থনৈতিক অবস্থা, মামলার সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে পর্যায়ক্রমে আদালত স্থাপন করা হবে। অধস্তন আদালতের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

11h ago