এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে!

আইসিসির ফিউচার ট্যুর পরিকল্পনা (এফটিপি) অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে পুরুষদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট। তবে হাই প্রোফাইল এই আসর আয়োজন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই জমে ছিলো প্রবল অনিশ্চয়তা। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের খবর সেই অনিশ্চয়তার জট খুলতে শুরু করেছে। হাইব্রিড মডেলে সময়মতই মাঠে গড়াতে পারে এই টুর্নামেন্ট।

যদিও এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি, তবে ইঙ্গিত মিলছে যে আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আশাবাদী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ছয় দলের এই টুর্নামেন্টের সময়সূচি প্রকাশ করা সম্ভব হবে। সম্ভবত তার আগেই তারা একটি বৈঠক করবে।

সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে টুর্নামেন্টটি সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে । সুনির্দিষ্টভাবে বললে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিতব্য এই এশিয়া কাপ শুরু হতে পারে ১০ সেপ্টেম্বর। ভারত ও পাকিস্তান ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে থাকবে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)।

এসিসির কাছ থেকে এশিয়া কাপের সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া সনি নেটওয়ার্ক ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের প্রমোশনাল কার্যক্রম শুরু করেছে। এবারের এশিয়া ভারত স্বাগতিক দেশ হলেও, এসিসি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে যদি ভারত বা পাকিস্তান আয়োজক হয়, তাহলে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট হবে। কারণটা সবারই বোধগম্য। অর্থাৎ পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হবে আমিরাতের মাঠে।

গত এপ্রিলে ভারত অধ্যুষিত কাশ্মিরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর টুর্নামেন্টটি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এরপর মে মাসে ভারত 'অপারেশন সিন্ধুর' শুরু করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এতে করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী দুই দেশ। ভারতের রাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক আসরেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জনের দাবি উঠে।

তবে সম্প্রতি বিশ্ব ক্রিকেটে যেসব ঘটনা ঘটছে, তা ভিন্ন একটা প্রবণতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইসিসি দুটি বড় বিশ্ব টুর্নামেন্টের সময়সূচি প্রকাশ করেছে—ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য নারীদের ওডিআই বিশ্বকাপ এবং ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই দুটি টুর্নামেন্টেই ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে—প্রথমটি ৫ অক্টোবর কলম্বোতে, দ্বিতীয়টি ১৪ জুন এজবাস্টনে।

যদিও বিসিসিআই, এসিসি বা আইসিসি থেকে এখনো কেউ মন্তব্য করেননি, তবে যা দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে—ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক অন্ততপক্ষে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোতে চালু থাকছে। বাণিজ্যিক দিক এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।  এই ম্যাচগুলো বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় রাজস্ব আয়কারী ম্যাচ। আর এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে এই রাজস্ব পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য, কেবল ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য নয়।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

59m ago