ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র

টানা ছয়দিন ধরে ইরানের নিরবচ্ছিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের আয়রন ডোমসহ অন্যান্য আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। জানা গেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকানোর অন্যতম উপকরণ অ্যারো মিসাইলের মজুত ফুরিয়ে আসছে ইসরায়েলের। 

আজ বুধবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা ও রয়টার্স।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহতের কাজে ব্যবহৃত অ্যারো মিসাইলের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে, ইরান থেকে ধেয়ে আসা দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর সক্ষমতাও কমে আসতে পারে ইসরায়েলের।

এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি সম্পর্কে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই অবগত।

তেল আবিবে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত ইসরায়েলি আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি: এএফপি
তেল আবিবে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত ইসরায়েলি আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ছবি: এএফপি

সে অনুযায়ী ওয়াশিংটন ইসরায়েলি স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বেশ কয়েকবার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি আরও উল্লেখ করে, 'গোলাবারুদ ও অস্ত্রের মজুদ নিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে' ইসরায়েলি বাহিনী অস্বীকার করেছে।

২০২৪ সালে প্রকাশিত বিবিসির প্রতিবেদনে অ্যারো ২ ও অ্যারো ৩ নামে দুই ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯১ সালে অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুরু হয় ইসরায়েলে।

১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাক ইসরায়েলের দিকে রাশিয়ায় নির্মিত অসংখ্য স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর অ্যারো মিসাইল উৎপাদনের উদ্যোগ নেয় ইসরায়েল। ২০১৭ সালে এটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার হয়।

অপরদিকে, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে অ্যারো ৩। এটি ২০২৩ সালে প্রথম ব্যবহার হয়। হুতিদের ছোঁড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে ইসরায়েল এটি ব্যবহার করে।

অ্যারো মিসাইল তৈরিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং এর সহায়তা পায় ইসরায়েলি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ। 

Comments