ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা

মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু কর্মী সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরাকের বাগদাদ শহরের একটি সাধারণ দৃশ্য। ১১ আগস্ট, ২০২১। রয়টার্স ফাইল ফটো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কারণ 'এটি একটি বিপজ্জনক স্থান হয়ে উঠতে পারে'। প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরানকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর হতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।

আজ বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রয়টার্স জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ইরাকি দূতাবাস আংশিক খালি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মার্কিন ও ইরাকি সূত্র জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভরশীলদের ওই এলাকার বিভিন্ন স্থান ত্যাগ করার অনুমতি দেওয়া হবে।

তবে ওই চারটি মার্কিন ও দুটি ইরাকি সূত্র জানায়নি, কোন নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য কর্মী সরিয়ে নেওয়ার খবরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম চার শতাংশের বেশি বেড়েছে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাহরাইন ও কুয়েত থেকে কর্মীদের স্বেচ্ছায় প্রস্থানের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত জানাতে বুধবার সন্ধ্যায় স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাদের বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ সতর্কতা আপডেট করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ১১ জুন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জরুরি নয় এমন মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের ওই এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ট্রাম্পের চেষ্টা অচলাবস্থায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে মার্কিন গোয়েন্দারা ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, 'তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কারণ এটি একটি বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠতে পারে। আমরা দেখব পরবর্তীতে কী হয়। এজন্য তাদের সরে যাওয়ার নোটিশ দিয়েছি।'

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কমাতে কিছু করা যায় কিনা জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, 'তারা পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না। আমার সহজ কথা, তারা পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে পারবে না।'

ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছেন ট্রাম্প।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বুধবার বলেছেন, ইরানে যদি হামলা চালানো হয়, তাহলে তারা ওই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দেবে।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

5h ago