হেলিকপ্টারের ভাড়া বাড়তে পারে

ফাইল ছবি

ঘোড়ার গাড়ি থেকে হেলিকপ্টার—বাংলাদেশে বিয়ের অনুষ্ঠানে আকর্ষণীয় দুই যান। একসময় যা ছিল অতি ধনীদের জন্য প্রযোজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তা উপস্থিত উচ্চ-মধ্যবিত্তের ঘরেও।

কিন্তু আগামী জাতীয় বাজেটে হেলিকপ্টারের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকায় অনেকের স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে।

আগামী অর্থবছরে হেলিকপ্টার আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), পাঁচ শতাংশ অগ্রিম কর ও পাঁচ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

হেলিকপ্টার পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা বলছেন, আমদানি শুল্ক বাড়ানো হলে ভাড়া বাড়বে। হেলিকপ্টারে চলাচলের খরচও বেড়ে যাবে। ফলে অনেকের সাধ থাকা সত্ত্বেও সাধ্যে কুলাবে না।

এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) ভাষ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মধ্যম-আয়ের অনেক পরিবারকে বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে দেখা গেছে।

তারা বলছেন, ভাড়া কয়েক লাখ টাকার মধ্যে। ব্যয়বহুল হলেও অনেকের নাগালের বাইরে নয়।

রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান এবং এমনকি ঈদের ভিড়ে চলাচলে হেলিকপ্টারে ব্যবহার বেড়েছে। অনেক ধনী পরিবার যানজট এড়াতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে।

জরুরি সংবাদ সংগ্রহের পাশাপাশি চলচ্চিত্র ও নাটকের শুটিংয়েও হেলিকপ্টার ব্যবহার বাড়ছে।

এওএবির তথ্য বলছে, বর্তমানে এক ডজনেরও বেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার পরিষেবা দিচ্ছে।

এগুলো হলো—স্কয়ার এয়ার লিমিটেড, মেঘনা এভিয়েশন, ইমপ্রেস এভিয়েশন, বসুন্ধরা এয়ারওয়েজ, সাউথ এশিয়ান এয়ারলাইন্স, বিসিএল এভিয়েশন, আরএন্ডআর এভিয়েশন, বাংলা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, বিআরবি এয়ার ও বেক্সিমকো এভিয়েশন।

২০২৩ সালের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম হেলিকপ্টার অ্যান্ড এয়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম-ঢাকা ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুট চালু করে। তারা যাত্রীপ্রতি চার হাজার ৯৯৯ টাকায় চট্টগ্রাম নগরীতে ট্যুর সার্ভিসের প্রস্তাব দিলেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশে প্রধানত দুই ধরনের হেলিকপ্টার আমদানি করা হয়—সামরিক গ্রেড মডেল ও বাণিজ্যিক হেলিকপ্টার।

হালকা হেলিকপ্টারগুলো সাধারণত দুই টনের কম হয়। থাকে এক ইঞ্জিন ও চার আসন। দুই ইঞ্জিনের ভারী হেলিকপ্টার ছয় যাত্রী বহন করতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

58m ago