ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি: ট্রাম্প

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ডোনাল্ড ট্রাম্প | এএফপির ফাইল ছবি

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই তথ্য জানান।

পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সারা রাত আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান "পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি"তে রাজি হয়েছে। কমন সেন্স ও দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।'

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই দেশের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

গত কয়েকদিনে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল। দুই দেশ একে-অপরের উপর একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, বিমানঘাঁটি ও বেসামরিক স্থাপনাতেও হয়েছে আক্রমণ।

জি৭, চীন, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবের মতো বিশ্ব সম্প্রদায়ের অনেকেই দুই দেশকে উত্তেজনা কমিয়ে কূটনৈতিক সংলাপে বসার জন্য চাপ দিয়েছে।

ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগে গতকাল শনিবার ইসহাক দার স্থানীয় এক টেলিভিশনকে বলেন, ভারত যদি এখানে থামে ও নতুন করে হামলা না চালায় তবে 'আমরাও এখানে থামার কথা বিবেচনা করব।'

এর আগে ভারতের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও এমন বিবৃতি এসেছে। শনিবার সামরিক বাহিনীর এক বৈঠকের পর উইং কমান্ডার ভৌমিকা সিং বলেন, পাকিস্তান আর পাল্টা আক্রমণ না চালালে ভারত উত্তেজনা কমানোর দিকে যাবে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক নিহত হন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপায় ভারত সরকার। যদিও পাকিস্তান দায় অস্বীকার করে এই ঘটনার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানায়। 

এরপর গত বুধবার (৭ মে, ২০২৫) পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। জবাবে পাকিস্তানও পরদিন ভারতীয় ভূখণ্ডে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। 

চারদিন ধরে চলমান দুই দেশের সহিংসতায় মোট ৬৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago