আর্নল্ডের ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্তে মর্মাহত লিভারপুলের সবাই

দুই দশকের মায়া কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত অ্যানফিল্ড ছাড়তে যাচ্ছেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। যদিও গুঞ্জন ছিল অনেকদিন থেকেই। তবে তার ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ক্লাবের সবাই মর্মাহত বলে জানিয়েছেন লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট।

গত সোমবার সামাজিকমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর লিভারপুল ছাড়ার ঘোষণা দেন ইংল্যান্ডের এই রাইট-ব্যাক। ছোটবেলা থেকেই যেই ক্লাবে খেলেছেন, সেই লিভারপুল ছাড়ার সিদ্ধান্তকে তিনি নিজের জীবনের 'সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত' বলে উল্লেখ করেন।

চলতি মৌসুমে আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল, বিশেষ করে লা লিগার জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে তার যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে। লিভারপুল ছেড়ে রিয়ালেই যাচ্ছেন বলে সংবাদ চাউর হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। অথচ এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের সাফল্যে বড় ভূমিকা ছিল তার।

এখনো আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের সঙ্গে সরাসরি কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্লট। শুধু হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়েছে তার। তবে শুক্রবারই মুখোমুখি আলাপ করার পরিকল্পনা রয়েছে তার, যাতে তিনি খেলোয়াড়ের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারেন। কারণ ভক্ত ও বিশ্লেষকদের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।

আর্নল্ডের ক্লাব ছাড়ার প্রসঙ্গে স্লট বলেন, 'যারা লিভারপুলকে ভালোবাসে বা এই ক্লাবের ভক্ত, সবার মতো আমরাও তার চলে যাওয়ায় মর্মাহত। কারণ কেবল সে একজন ভালো মানুষ নয়, একজন অসাধারণ ফুল-ব্যাকও আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে।'

'আমি আগে এজেড আল্কমার ও ফেয়েনুর্দের মতো ক্লাবে কাজ করেছি, যেখানে প্রতি মৌসুমেই ভালো খেলোয়াড়রা ক্লাব ছেড়ে গেছে, তাই এ ধরণের বিদায়ের সঙ্গে আমি কিছুটা পরিচিত। আমার অভিজ্ঞতা এবং এই ক্লাবের ইতিহাসও বলছে, একজন ভালো খেলোয়াড় চলে গেলে তার জায়গায় পরবর্তী ভালো খেলোয়াড় উঠে আসে, এবং সম্ভবত এবারও সেটাই ঘটবে,' যোগ করেন তিনি।

আগামী রোববার লিভারপুলের প্রতিপক্ষ হচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনাল, ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে অ্যানফিল্ডে। তবে এরমধ্যেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে রেডদের।

Comments

The Daily Star  | English

India bans land import of jute, yarn from Bangladesh

India yesterday banned the imports of certain jute products and woven fabrics from Bangladesh through land ports.

1h ago