আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিন্টো রোডের মুখে মঞ্চ করে ছাত্র-জনতার জমায়েত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জমায়েতের জন্য মিন্টু রোডের মুখে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জমায়েতের জন্য রাজধানীর মিন্টো রোডের মুখে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। 

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সড়কের ওপর তৈরি করা এ মঞ্চ ঘিরে আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

এর আগে থেকেই সেখানে ছাত্র-জনতার একটি অংশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিন্টো রোডের সামনে জমায়েত। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ দলটির নেতাদের আহ্বানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মঞ্চকে ঘিরে লোকজনের জমায়েত বাড়ছে।

এসময় যমুনার দিকে হেয়ার রোড ও মিন্টো রোডের মুখে পুলিশ ব্যারিকেড দেখা গেছে। 

চারটি ট্রাকের ওপর করা মঞ্চে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অনেকে বক্তব্য দিচ্ছেন। সামনের সড়কে অবস্থানরত ছাত্র-জনতা স্লোগান দিচ্ছেন। সড়কে লেখা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান।

এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার নামাজ শেষে সমাবেশের ডাক দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

সব রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল রাত ১০টার দিকে যমুনার সামনে শুরু হওয়া চলমান অবস্থান কর্মসূচি থেকে আজ সকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, এ সরকারের প্রথম এবং প্রধান সংস্কার হবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা না হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই রাজপথ ছাড়ব না।'

ফোয়ারার সামনে মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সব রাজনৈতিক দল, ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তি, গত দেড় দশক ধরে নির্যাতিতরা, বিডিআর পরিবার, হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবার, গুম খুনের শিকার পরিবার-সবাইকে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান।

Comments