পান্থকুঞ্জ পার্ক দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি

ফাইল ছবি

পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাতিল চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চিঠি দিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন।

চিঠিতে এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বাতিলের পাশাপাশি প্রকল্পের নকশা পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

ডাকযোগে এবং ইমেইলের মাধ্যমে গতকাল সোমবার চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগের কারণে হাতিরঝিল জলাধার ও পান্থকুঞ্জ পার্কের পরিবেশ ইতোমধ্যে ধ্বংসপ্রায়। 

পাশাপাশি কাঁঠালবাগান-কাটাবন-নীলক্ষেত-পলাশীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সামগ্রিক পরিবেশ ও পরিবহন ব্যবস্থা এতে সীমাহীন সংকটে পড়বে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই সংযোগ সড়ক বাতিল না হলে সার্ক ফোয়ারা, বাংলামোটর, কাটাবন, এলিফ্যান্ট রোড, নীলক্ষেত ও পলাশী মোড়ে ট্রাফিক জ্যাম মারাত্মকভাবে বেড়ে যাবে। 

গাছ রক্ষা আন্দোলন বলছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই সংযোগ সড়কের বিষয়ে রাজউক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ও এলাকাবাসী তীব্র আপত্তি জানানো সত্ত্বেও বিগত সরকার বাতিল করেনি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্প নির্মাণ বন্ধের দাবিতে গাছ রক্ষা আন্দোলনের তরুণ পরিবেশকর্মীরা পান্থকুঞ্জ পার্কে গত ৪ মাসের বেশি সময় ধরে লাগাতার অবস্থানের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত ২৩ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিন উপদেষ্টা পান্থকুঞ্জ পার্কে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং এ বিষয়ে আরও আলোচনার জন্য দ্রুততম সময়ে আনুষ্ঠানিক মতবিনিময় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। 

মতবিনিময় সভা এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচি হিসেবে সব উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরিবেশগত, জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিবের সই করা এ চিঠিতে বিষয়টি নিয়ে আগামী ৫ কর্মদিবসের প্রধান উপদেষ্টার আনুষ্ঠানিক মতামত প্রত্যাশা করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

1h ago