পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশি ২ যুবককে ফেরত দিলো বিএসএফ

গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। ছবি: স্টার

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে আটক দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

গতরাত সাড়ে ৩টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়। 

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধবলসুতি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোক্তার হোসেন আজ শনিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বাংলাদেশি দুই যুবক হলেন পাটগ্রাম উপজেলার রহমতপুর হাটিয়ারভিটা গ্রামের মোস্তাফিজ রহমানের ছেলে মাহফুজ ইসলাম ইমন ও বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম। তারা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। ইমন এসএসসি পরীক্ষার্থী। 

বিজিবি জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাটিয়ারভিটা সীমান্ত এলাকায় নো-ম্যান্স ল্যান্ডে মেইন বর্ডার পিলার ৮২৫ এর সাব পিলার ১-এস এর কাছে ভারতীয় চা বাগানে প্রবেশ করেন বাংলাদেশি দুই যুবক। তারা চা বাগানে প্রবেশ করে মোবাইল ফোনে টিকটক ভিডিওধারণ করছিলেন। এসময় টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করেন। 

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি ধবলসুতি বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের অবহিত করেন। বিজিবি সদস্যরা বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা পান। এ বিষয়ে বিজিবি রংপুর সেক্টর কমান্ডার ও বিএসএফ জলপাইগুড়ি সেক্টর কমান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আটক দুই বাংলাদেশি যুবককে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ছেড়ে দেয় বিএসএফ।

বাংলাদেশি যুবক সাজেদুল ইসলাম বলেন, 'আমরা না বুঝে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে ভারতীয় চা বাগানে ঢুকে পড়েছিলাম। চা বাগানের কয়েকটি ছবি ও ভিডিওধারণ করছিলাম। এসময় বিএসএফ সদস্যরা আমাদের আটক করেন।'

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ধবলসুতি বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মোক্তার হোসেন বলেন, 'শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। আটক দুই বাংলাদেশি যুবককে বিএসএফ হস্তান্তর করে। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

31m ago