জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে সরিয়ে দিলেন ট্রাম্প

মাইক ওয়াল্টজ। ছবি: এপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে বরখাস্ত করেছেন। তার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নাম ঘোষণা করেছেন তিনি।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য বলা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তিনি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে ওয়াল্টজকে মনোনীত করবেন। তিনি আমাদের জাতির স্বার্থকে শীর্ষে রেখে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে একাধিক সূত্র জানিয়েছিল- ট্রাম্প ওয়াল্টজকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা গ্রিন বেরেট ও ফ্লোরিডার প্রাক্তন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা হোয়াইটহাউসে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। বিশেষ করে গত মার্চে ট্রাম্পের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা সহযোগীদের মধ্যে সিগন্যাল চ্যাটের কেলেঙ্কারিতে ধরা পড়ার পর।

১৯৭০-এর দশকে হেনরি কিসিঞ্জারের পর রুবিও হবেন প্রথম ব্যক্তি যিনি একই সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, 'আমার কোনো সমস্যা হলেই আমি মার্কোকে ফোন করি। তিনি সমাধান করে দেনে।'

এ বিষয়ে অবগত এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেন, মন্ত্রিসভা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার আগে ট্রাম্প তার মেয়াদে ১০০ দিন পার করতে চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের রদবদলের খবর এতটাই আকস্মিক ছিল যে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা একটি শক্তিশালী পদ, যার সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চারজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন- মাইকেল ফ্লিন, এইচ আর ম্যাকমাস্টার, জন বোল্টন এবং রবার্ট ও'ব্রায়েন।

এদিকে ওয়াল্টজের ডেপুটি এশিয়া বিশেষজ্ঞ অ্যালেক্স ওংকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বিষয়টির নিয়ে অবগত দুজন রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে কাজ করেছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago