ব্রাজিলকে 'হ্যাঁ' বলেছেন আনচেলত্তি

অনেক দিন থেকেই কার্লো আনচেলত্তি নিজেদের কোচ হিসেবে চাইছে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। তবে রিয়াল মাদ্রিদের এই কোচ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে এই ইতালিয়ান সম্মত হয়েছেন বলে সোমবার জানানো হয়েছে একাধিক স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে।

অভিজ্ঞ ইতালীয় এই কোচের সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি রয়েছে রিয়ালের। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের কাছে বিদায় এবং কোপা দেল রেতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার কাছে পরাজয়ের পর, তাকে ছাঁটাইয়ের কথা ভাবছে ক্লাবটি। জানা গেছে সমঝোতার ভিত্তিতেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যু ছাড়ছেন তিনি।

বার্সার কাছে হারের পর আনচেলত্তি নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত আসছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নেওয়া হবে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন আনচেলত্তি। এর ফলে গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়া ক্লাব বিশ্বকাপের আগেই রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়তে পারেন তিনি।

মার্চ মাসে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর কোচ দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করে ব্রাজিল। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে তারা।

গত মৌসুমে আনচেলত্তির অধীনে রিয়াল মাদ্রিদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগা শিরোপা জয় করেছিল। দলের সাফল্যে ব্রাজিলীয় তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে আনচেলত্তি সবচেয়ে সফল কোচদের একজন।

রিয়ালে তার প্রথম মেয়াদে দলকে দশম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা এনে দেন আনচেলত্তি, যা 'লা দেসিমা' নামে পরিচিত। দুটি পৃথক মেয়াদে রিয়ালের হয়ে তিনি তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেছেন। ২০১৫ সালে বরখাস্ত হলেও, ২০২১ সালে জিনেদিন জিদানের পদত্যাগের পর আবার রিয়ালে ফিরেছিলেন তিনি।

চলতি মৌসুমে রক্ষণভাগে বেশ দুর্বলতা দেখিয়েছে রিয়াল এবং তারা লা লিগায় বার্সেলোনার থেকে চার পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। এখন তাদের সামনে একমাত্র বড় শিরোপা জয়ের আশা লা লিগা।

আনচেলত্তি এর আগে এসি মিলান, চেলসি এবং পিএসজির মতো বড় বড় ক্লাবেও কোচিং করিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago