লিজেন্ডসকে উড়িয়ে মোহামেডান-গাজী ম্যাচে তাকিয়ে আবাহনী

লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে সাদামাটা পুঁজিতে আটকে দিলেন আবাহনী লিমিটেডের দুই স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রাকিবুল হাসান। লক্ষ্য তাড়ায় এরপর কোনো বেগ পেতে হলো না ঐতিহ্যবাহী আকাশি-নীলদের। শতরানের জুটিতে পারভেজ হোসেন ইমন ও জিশান আলমের ফিফটিতে অনায়াসে জিতল দলটি। ফলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সুপার লিগের একপেশে ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে আবাহনী। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৫ রান তোলে লিজেন্ডস। জবাবে মাত্র ৩৭.৩ ওভারে ৩ উইকেটে ২২৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে মোসাদ্দেকের দল।
লিগ পর্বে ১১ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছিল আবাহনী। সুপার লিগে চার ম্যাচ খেলে সবকটিতে জেতায় তাদের অর্জন বেড়ে হয়েছে ১৫ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট। শীর্ষে থেকে তারা এখন তাকিয়ে মিরপুরে চলমান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ম্যাচের দিকে। ওই লড়াইয়ে মোহামেডান হারলেই টানা তৃতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে আবাহনী। সাদা-কালোদের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২২।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে লিজেন্ডস। ২২ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরত যান তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। দুজনই হন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেকের শিকার। এরপর চেষ্টা করলেও বেশিদূর এগোয়নি সাইফ হাসান ও মেহেদী মারুফের প্রতিরোধ। ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাইফের বিদায়ে। তিনি বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের বলে মাঠ ছাড়ার পর আফিফ হোসেনকে টিকতে দেননি মোসাদ্দেক।
পঞ্চম উইকেটে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু করে লিজেন্ডস। মারুফের সঙ্গে অধিনায়ক আকবর আলী যোগ করেন ৫০ রান। এই জুটিও ভাঙেন মোসাদ্দেক। আকবর বিদায় নেওয়ার কয়েক ওভার পর একপ্রান্ত আগলে থাকা মারুফও থামেন। ১৪২ রানে ৬ উইকেট খোয়ানো দলটি এরপর দুইশ ছাড়িয়ে যায় চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শরিফুল ইসলামের কল্যাণে।
মারুফ সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ৮৮ বলে। আকবরের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩৫ রান। সাতে নেমে রিজওয়ান করেন ৪৭ বলে ৪০ রান। আটে নামা শরিফুল, যার মূল কাজ বোলিং, তিনি ব্যাট হাতে খেলেন ২৩ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস। এক চারের সঙ্গে চার ছক্কা মারেন তিনি। আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক ৪ ও রাকিবুল ৩ উইকেট নেন। দুজনই ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে সমান ৪১ রান খরচ করেন।
রান তাড়ায় ৪৪ রানের আক্রমণাত্মক উদ্বোধনী জুটি পায় আবাহনী। শাহরিয়ার কমল ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার পারভেজ ও জিশান ১১৩ রান যোগ করলে ম্যাচ মুঠোয় চলে আসে শিরোপাধারীদের। পারভেজ ৮৪ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় করেন ৭৩ রান। জিশানের ব্যাট থেকে আসে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ বলে ৬৩ রান। এরপর মেহেরব হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
Comments