ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন লক্ষ্যচ্যুত না হয়: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনা। ছবি: ইউএনবি

এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যাতে মানুষ আর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার না হন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

আজ শনিবার সংসদ ভবনস্থ এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আলোচনার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

আলোচনার সূচনায় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বীর শহীদদের আত্মত্যাগে আমরা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এই বীর শহীদদের কাছে ঋণ আছে। যে সুযোগ ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে তৈরি হয়েছে, তা যেন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হয়।' 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করার কথা উল্লেখ করে আলী রীয়াজ আরও বলেন, 'আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে চাই। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বা কোনো নিপীড়নের শিকার না হন।'

'রাষ্ট্র সংস্কারের যে উদ্যোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে, তা কেবল সরকারের উদ্যোগ নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার ফল,' বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, 'রাষ্ট্র সংস্কারের তাগিদ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এসেছে, ছাত্রসমাজের কাছ থেকে এসেছে এবং সর্বোপরি দেশের সকল স্তরের মানুষের কাছ থেকে এসেছে।'

আলোচনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ হামিদুর রহমান আজাদ, রফিকুল ইসলাম খান, এহসান মাহবুব যোবায়ের, সাইফুল আলম খান মিলন, মতিউর রহমান আকন্দ, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিশির মোহাম্মদ মনির ও সরকার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। 

ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ এ পর্যন্ত ১৭টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English
august 5 public holiday in Bangladesh

Govt to declare Aug 5 as public holiday

"Every year this day will be observed as the student-led people's uprising day"

55m ago