যুক্তরাষ্ট্রকে খনিজ দেওয়ার লক্ষ্যে প্রাথমিক সমঝোতা স্মারকে সই ইউক্রেনের

ইলাসট্রেশন: রয়টার্স

যুদ্ধে তিন বছর ধরে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাওয়ার বিনিময়ে ইউক্রেনের কাছে বিপুল পরিমাণ খনিজসম্পদ দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওয়াশিংটন সফরে খনিজ আহরণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হওয়ারও কথা ছিল।

কিন্তু ট্রাম্পের সঙ্গে তার নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার কারণে শেষ পর্যন্ত হয়নি সে চুক্তি।

অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সেই চুক্তির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দুই দেশ। একে সম্ভাব্য চুক্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বলে আখ্যা দিয়েছে ইউক্রেন।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়।

ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া সভিরিডেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, '(সমঝোতা স্মারকে) এই সইয়ের ঘোষণা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি ও ইউক্রেন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ তহবিল গঠনের পথ প্রশস্ত করবে এই সমঝোতা স্মারক।'

শান্তি প্রক্রিয়ার আলোচনা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধে ইউক্রেনকে তিন বছর ধরে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাওয়ার বিনিময়ে দেশটির কাছে ৫০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খনিজ সম্পদ দাবি করেন ট্রাম্প।

এরপর দাবির পরিমাণ কমিয়ে এনে ইউক্রেন থেকে খনিজ ও প্রাকৃতিক-সম্পদ আহরণ সংক্রান্ত একটি চুক্তির প্রস্তাব রাখে যুক্তরাষ্ট্র। জেলেনস্কি এতে সই করতে রাজিও ছিলেন। তবে খনিজ আহরণের বিনিময়ে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের, এই শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি।

ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বাগবিতণ্ডার জন্য শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি চুক্তিটি।

রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের মুখে সম্প্রতি আবার ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করছে কিয়েভ। এর অংশ হিসেবে সমঝোতা স্মারকে সই করেছে তারা।

এদিকে ট্রাম্প দাবি করেছেন, চূড়ান্ত চুক্তিটি আগামী সপ্তাহের মধ্যে সই হতে পারে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, 'খনিজসম্পদ চুক্তিটি সম্ভবত বৃহস্পতিবার সই হয়ে যাবে।'

যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ ও গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ওপর বিশেষ নিয়ন্ত্রণ পাবে বলেও জানান তিনি।

তবে ইউক্রেন এখনো চুক্তির চূড়ান্ত সময়সীমা নিয়ে কিছু জানায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

12h ago