রমনা বটমূলে রাগ ভৈরব পরিবেশন দিয়ে শুরু ছায়ানটের নববর্ষ বরণ

ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

ঢাকার আকাশে সূর্য উঠতেই রমনা বটমূল থেকে শুরু হয় বাংলা ১৪৩২ সনের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ছায়ানটের আয়োজিত অনুষ্ঠান। এবারের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় 'আমার মুক্তি আলোয় আলোয়'। এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে ছায়ানট একটি বার্তা দিতে চায়—আশা, সহনশীলতা আর পুনর্জাগরণের।

রমনা বটমূলে পূর্ব থেকে পশ্চিমমুখী ৭২ ফুট দীর্ঘ ও ৩০ ফুট প্রস্থের অর্ধবৃত্তাকার মঞ্চে হচ্ছে এই অনুষ্ঠান।

ছায়ানট সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল, এবারের বৈশাখী আয়োজনে মোট ২৪টি পরিবেশনা থাকবে—৯টি সম্মিলিত সংগীত, ১২টি একক পরিবেশনা ও তিনটি আবৃত্তি। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সূচনাবক্তব্য প্রদান করবেন ছায়ানটের কার্যনির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী এবং অনুষ্ঠানটি শেষ হবে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে।

এবার গান ও আবৃত্তি পরিবেশক পুরুষরা পরেছেন মেরুন পাঞ্জাবি ও সাদা পাজামা এবং নারীরা পরেছেন মেরুন পাড়ের অফ-হোয়াইট শাড়ি।

মঞ্চের সাজসজ্জায়ও দেখা গেছে একই রঙের প্রতিফলন। মেরুন থিমে সাজানো হয়েছে মঞ্চ। প্রতি বছর মঞ্চের আকার বা গঠন একই থাকলেও বদল হয় রঙ। গত বছর মঞ্চের রঙ ছিল হালকা সবুজ।

বাংলা নববর্ষের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ছায়ানটের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ১৯৬৭ সাল থেকে রমনার বটমূলে এই ঐতিহাসিক বৈশাখী অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের জন্য গত তিন মাস ধরে ধানমন্ডির ছায়ানট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে মহড়া চলেছে। রমনার বটমূলে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছিল ৮ এপ্রিল।

Comments

The Daily Star  | English

Govt at it again, plans to promote retirees

"A list of around 400 retired officials is currently under review though it remains unclear how many of them will eventually be promoted"

7h ago