৩২ মামলা থেকে খালাস সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির কারামুক্ত

জাকির খান আজ কারামুক্ত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ শহরে নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেন। ছবি: সংগৃহীত

হত্যাসহ ৩২ মামলা থেকে খালাস পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান।

আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল ৭টা থেকে কারা ফটকের সামনে ফুলের মালা ও গাড়িবহর নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা। 

কারামুক্ত হয়ে জাকির খান তাদের নিয়ে শহরে শোডাউন করেন। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

জাকিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব মণ্ডল আজ সাংবাদিকদের বলেন, 'জাকির খানের বিরুদ্ধে থাকা ৩৩ মামলার ৩২টিতে খালাস পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় তার ১৪ বছর সাজা হয়। উচ্চ আদালতে আপিলে এ সাজা কমে ৮ বছর হয়, পরে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদনে সাজা আরও ৩ বছর কমে। এ মামলাটির সাজার মেয়াদ শেষে তিনি কারামুক্ত হয়েছেন।'

দীর্ঘসময় পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাকির খান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক আইনে ৩৩টি মামলা ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন ও খালাস পান জাকির খান।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২২ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা ছাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার রায়ে জাকিরসহ সব আসামিকে খালাসের আদেশ দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম।

মামলায় খালাস পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ।

২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির অদূরে ছাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি ছাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।

নব্বইয়ের দশকে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে আসা জাকির হোসেন ওরফে জাকির খান একসময় শহরের 'ক্যাডার' হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হন। ছাব্বির আলম খন্দকার হত্যার পর আসামি হিসেবে নাম এলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

Comments

The Daily Star  | English
remittance earning of Bangladesh

Remittance rises 30% in July

Migrants sent home $2.47 billion in the first month of the current fiscal year

5h ago