অসময়ে যমুনার ভাঙনে পাবনার ৩ গ্রাম

অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের নেওলাইপাড়া গ্রাম | ছবি: সংগৃহীত

অসময়ে যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে পাবনার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম।

যমুনার তীরবর্তী নেওলাইপাড়া, বাটিয়াখরা ও মরিচাপারা গ্রামের বাসিন্দাদের আশঙ্কা, ভাঙন অব্যাহত থাকলে বাড়ি-ঘর ছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্থান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যেতে পারে।

তারা আরও জানান, গত দুই বছরে ভাঙনে প্রায় ৫০০ পরিবার বসতভিটা হারিয়েছে। নদীতে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় হাজার বিঘা জমি।

চরাঞ্চলের এই তিনটি গ্রামে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার বসবাস করে।

গ্রামবাসীর ভাষ্য, গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে যমুনার। ভাঙছে নতুন চর। ধীরে ধীরে বসতবাড়ির দিকে এগোচ্ছে যমুনা।

নেওলাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইমদাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদী আগে অনেক দূরে ছিল, ভাঙতে ভাঙতে এখন বাড়ির কাছাকাছি চলে আসছে। কিনারায় স্রোত ছিল না। গতি বদলে যাওয়ায় তীরবর্তী এলাকায় স্রোত হচ্ছে।'

ছবি: সংগৃহীত

বাটিয়াখড়া গ্রামের বাসিন্দা আফতাব হোসেন বলেন, 'বিগত বছরগুলোতে নদীর পেটে এক হাজার বিঘার মতো জমি চলে গেছে। ভাঙন রোধে এখনই দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাড়ি-ঘর, আবাদি জমি, গ্রামের মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।'

নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে তীরবর্তী ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
তবে বাড়িঘর আক্রান্ত হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ইতোমধ্যে  জানানো হয়েছে। কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন।'

পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভাঙন রোধে জিআর ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ঠিকাদার নিযুক্ত করেছি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।'

অসময়ে নদী ভাঙনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'নৌ-চ্যানেল সচল রাখতে ড্রেজিং করায় এই অংশে নদীর গভীরতা বেশি। আর নদীর স্রোত সব সময়ই বেশি থাকে। নদী গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় স্রোত চরে আঘাত হানছে, ফলে নিচের মাটি সরে গিয়ে ভাঙন হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

1h ago