নতুন ট্রাম্প-শুল্কের পর বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ধস, মূল্যস্ফীতি বাড়ার শঙ্কা

ট্রাম্পের হাতে নতুন শুল্ক চার্ট। ছবি: এএফপি

বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্য অংশীদারদের পণ্যের ওপর বিভিন্ন মাত্রার 'রেসিপ্রোকাল শুল্ক' আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত বুধবার তার এই ঘোষণার পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত আছে।

আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, নতুন এই ট্রাম্প-শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে পণ্যের দাম বাড়াবে ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, কোভিড মহামারির পূর্বাভাসে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে ধস নেমেছিল। এরপর গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের শেয়ারবাজার সবচেয়ে বেশি দরপতন দেখেছে।  

নাইকি, অ্যাপল ও টার্গেটের মতো বড় মার্কিন কোম্পানিগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের প্রত্যেকের শেয়ারমূল্য ইতোমধ্যে ৯ শতাংশের বেশি দরপতন দেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির শেয়ারমূল্যের ওপর নজর রাখা এসঅ্যান্ডপি ৫০০-র সূচকে বৃহস্পতিবার চার দশমিক আট শতাংশ দরপতন দেখা দেয়। এর ফলে এসব কোম্পানির বাজারমূল্য কমেছে প্রায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ডাও জোন্স সূচক ৪ শতাংশ ও নাসডাক প্রায় ৬ শতাংশ দরপতন দেখেছে। বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতনের ধারা শুরু হয়।

শুক্রবার সকালে জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক দুই দশমিক সাত ও অস্ট্রেলিয়ার এএসএক্স ২০০ সূচক এক দশমিক ছয় শতাংশ দরপতন দেখেছে।

চীন ও হংকংয়ের শেয়ারবাজার ছিংমিং উৎসবের কারণে বন্ধ রয়েছে।

এছাড়া, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের শেয়ারবাজারেও দরপতন দেখা গেছে।

ট্রাম্পের 'রেসিপ্রোকাল শুল্ক' অনুযায়ী, ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৪৯ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক দেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য করা দেশগুলো। এসব শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও দেশীয় উৎপাদন বাড়াবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মতো বাণিজ্যিক অংশীদারদের পণ্যে শুল্কের হার আরও বাড়বে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

মোট ৫৪ শতাংশের শুল্কের মুখে পড়া চীন ও ২০ শতাংশ শুল্ক দেখা ইইউ বৃহস্পতিবার পাল্টা প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) নতুন ট্রাম্প-শুল্ক নিয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করে জানিয়েছে, এসব শুল্কের জন্য এবছর বৈশ্বিক বাণিজ্য এক শতাংশ কমে যেতে পারে।

বিনিয়োগকারীরা আশঙ্কা করছেন, এসব শুল্ক মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে দিতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

12h ago