অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে মরা-পচা মাছ উঁচিয়ে আইনপ্রণেতার প্রতিবাদ

সিনেটে মরা, পচা মাছ উঁচিয়ে আইনপ্রণেতার প্রতিবাদ জানালেন গ্রিনস পার্টির সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়াং । ছবি: এএফপির ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট
সিনেটে মরা, পচা মাছ উঁচিয়ে আইনপ্রণেতার প্রতিবাদ জানালেন গ্রিনস পার্টির সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়াং । ছবি: এএফপির ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট

অস্ট্রেলিয়ার এক আইনপ্রণেতা দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় একটি মৃত স্যামন মাছ উঁচিয়ে ধরে অভিনব কায়দায় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। জানিয়েছেন সরকারের নীতিমালার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস (এজি) বা শুধু গ্রিনস পার্টি নামে পরিচিত দলটির সিনেটর সারাহ হ্যানসন-ইয়াং অভিযোগ করেন, সরকার বাণিজ্যিক মৎস্য খামারের মাধ্যমে তৈরি হওয়া পরিবেশ দূষণ প্রতিহত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

পরিবেশ অধিকারকর্মীরা অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যে বিপুল পরিমাণে স্যামন চাষের উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, বড় আকারে বাণিজ্যিক চাষাবাদের কারণে ওই দ্বীপ-রাজ্যে পানির উৎসগুলো বর্জ্য ও মাছের মলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে।

সারাহ পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, তিনি সরকারের ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন, কারণ তারা পরিবেশরক্ষায় আরও কঠোর মানদণ্ড প্রণয়ন করতে অস্বীকার করে যাচ্ছে।

তিনি সিনেট অধিবেশনের লাইভ সম্প্রচারের সময় বলেন, 'নির্বাচনকে সামনে রেখে, আপনারা কি পরিবেশ রক্ষার প্রতি আপনাদের অঙ্গীকারগুলোকে একটি পচা, দুর্গন্ধযুক্ত ও বিলুপ্তপ্রায় স্যামনের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন?'

এ সময় তার পেছনে বসে থাকা গ্রিনস পার্টির অপর এক সিনেটর আর্তনাদ করে বলে ওঠেন, 'দুর্গন্ধ পাচ্ছি'।

নিস্তরঙ্গ সিনেট অধিবেশন। কে জানতো, খানিক পরেই শুরু হবে মাছ-কান্ড। ছবি: এএফপি
নিস্তরঙ্গ সিনেট অধিবেশন। কে জানতো, খানিক পরেই শুরু হবে মাছ-কান্ড। ছবি: এএফপি

সারাহকে শিগগির পলিথিনে মোড়ানো মাছটি পার্লামেন্ট চেম্বার থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশবাদীদের আশঙ্কা, অনিয়ন্ত্রিত স্যামন চাষের ফলে স্থানীয় মজিয়ান স্কেট নামের একটি মাছ বিলুপ্ত হতে বসেছে। মাছটি দেখতে খানিকটা স্টিংরে'র মতো।

তবে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ স্যামন শিল্প খাতের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। তাসমানিয়ায় এই খাত কর্মসংস্থানের বড় উৎস।

এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে উদ্ভট জিনিস নিয়ে আসার নজির আছে।

সাবেক কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন একবার পার্লামেন্টে কয়লার স্তূপ নিয়ে এসেছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল টেকসই জ্বালানির পক্ষে থাকা সিনেটরদের উত্যক্ত করা।

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

1h ago