সাভার থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছে তামিমকে

Tamim Iqbal
তামিম ইকবাল। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবাল গতকাল খেলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর সাভারের শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে দ্রুততার সঙ্গে সফলভাবে তার হার্টে রিং পরানো হয়। এর পরদিনই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

এই তারকা ক্রিকেটারকে চিকিৎসকরা শুরুতে টানা বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তাদের সঙ্গে আলোচনার পর তামিমকে মঙ্গলবার ঢাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সহ-সভাপতি মাসুদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, 'এটি একটি পারিবারিক সিদ্ধান্ত। ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হয়েছে। ইফতারের পর তারা (পরিবারের সদস্যরা) তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে আসবে এবং সেখানে পুলিশ প্রোটোকল থাকবে। সর্বোচ্চ মহল থেকে সিদ্ধান্তটি এসেছে। যেহেতু যানজট থাকে এবং ইফতারের পর রাস্তাগুলো ফাঁকা থাকবে, তাই স্থানান্তরের জন্য সেই সময়টি বেছে নেওয়া হয়েছে।'

এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কেপিজে হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ডাক্তার রাজীব হাসান জানান, ঢাকায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার তামিমের পরিবারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

'ইনশাআল্লাহ, আমরা তাকে এখান থেকে ছেড়ে দিতে পারব। কখন এবং কীভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে তা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা তাদের সবকিছু ব্যাখ্যা করেছি। আমরা পরিবারের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাব এবং সেই অনুযায়ী সহযোগিতা করব,' তিনি বলেছিলেন।

গতকাল সকালে সাভারের বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে যান তামিম। মোহামেডানের অধিনায়ক হিসেবে টসও করেন তিনি। এরপর খেলতে নেমে কিছুক্ষণ পর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালে যাওয়ার পর মাঠে ফিরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু সেখানে থাকা চিকিৎসকরা তখন দ্রুত আগের ওই হাসপাতালেই তার চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন।

অচেতন হয়ে পড়া তামিমকে বাঁচাতে ম্যাচ রেফারি, সতীর্থ, মোহামেডানের ট্রেনার এবং পরবর্তীতে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ছিল প্রবল। তারা সফলও হয়েছেন। সংকটাপন্ন অবস্থা পেরিয়ে তামিম এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তবে তাকে আগামী কিছুদিন সতর্ক থাকতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

1h ago