কেরানীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

আদালতের আদেশের প্রতিকী রূপ। ছবি: সংগৃহীত
আদালতের আদেশের প্রতিকী রূপ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম বামনসুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া গ্রামের কমির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব (২৫), ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব (২৩) ও শরীয়তপুরের পালং এলাকার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন (২৬)।

তাদের মধ্যে রাকিব ও শাওন কারাগারে এবং সজিব পলাতক।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আদালতে দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়াও, ভিকটিমের লাশ গুম করার দায়ে আসামিদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পলাতক আসামি সজিবের সাজা আত্মসমর্পণ বা গ্রেপ্তারের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে বিচারক তার রায়ে বলেছেন।

মামলার আসামি আলী আকবর এবং মো. রিয়াজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে এবং ট্রাইব্যুনাল মামলার বাদীসহ ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ পুলিশ পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনের একটি পুকুর থেকে কিশোরীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ প্রথমে শাওনকে গ্রেপ্তার করে। জবানবন্দিকে তিনি জানান, রাকিব, সজিব এবং আলী আকবরসহ কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।

পরে পুলিশ রাকিব এবং সজিবকেও গ্রেপ্তার করে এবং তারা হত্যা ও ধর্ষণের কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।

মামলার তদন্ত শেষে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলোক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালাতে অভিযোগপত্র দেন।

Comments

The Daily Star  | English
Government notification banning Awami League

Govt bans activities of AL until ICT trial completion

A gazette notification was issued in this regard by Public Security Division of the home ministry

3h ago