ঘুর্ণিঝড় আলফ্রেড: অস্ট্রেলিয়ায় ১ লাখ ২০ হাজার বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন

ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ছবি: এএফপি
ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছ সরিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ছবি: এএফপি

ঝড় ও বন্যা বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। 

সিডনি থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনতে আজ মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।

গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড শনিবার স্থল নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আগে পাঁচ দিন ধরে ৪০০ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে তাণ্ডব চালায়।

শুক্রবার, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ৬১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সেতুর ওপর দিয়ে ফোর হুইল ড্রাইভ পিকআপ চালিয়ে যাওয়ার সময় প্লাবিত নদীতে ভেসে গেলে তার মৃত্যু হয়।

কুইন্সল্যান্ড ও নিউ সাউথ ওয়েলসের উপকূলরেখা জুড়ে বাতাস ও বৃষ্টিপাতের প্রকোপ কমে আসলেও এখনো দেশটির বিভিন্ন অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কুইন্সল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মঙ্গলবার সকালেও এক লাখ ১৮ হাজার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল।

আঞ্চলিক বিদ্যুৎ সরবরাহকারী এনার্জেক্স জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে তাদের ৯৫ শতাংশ সংযোগ পুনরায় দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

সংস্থাটি হালনাগাদ তথ্যে বলেছে, আজ আবহাওয়া কাজের জন্য অনুকূল বলে মনে হওয়ায় দুই সহস্রাধিক কর্মী আবার মাঠে নেমেছেন। নেটওয়ার্কের বিচ্ছিন্ন অংশগুলো মূল্যায়ন করার জন্য তারা হেলিকপ্টার পাঠানোর কথাও জানিয়েছে।

এনার্জেক্স আরও জানায়, জরুরি অবস্থার সময় কুইন্সল্যান্ডের চার লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি প্রাঙ্গণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যা রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট বিভ্রাটের একটি রেকর্ড।

এসেনশিয়াল এনার্জি জানায়, নিউ সাউথ ওয়েলসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সাত হাজার ছয়শ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনও বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।

সংস্থাটি জানায়, 'তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত, পড়ে থাকা গাছ ও গাছপালার ধ্বংসাবশেষের ত্রুটি বিচ্যুতির ভেতর দিয়ে কাজ করার কারণে গ্রাহকদের দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার ভোগান্তি পোহানোর আশঙ্কা রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago