বাস্তবতা মেনে 'কঠিন লড়াইয়ের' জন্য প্রস্তুত নিউজিল্যান্ড

আসরের শুরু থেকেই দুবাইয়ের মন্থর উইকেটে নিয়মিত খেলে চলেছে ভারত। যা এখন তাদের জন্য বেশ পরিচিত। অনেকটা ঘরের মাঠের মতই হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকলেও এই বাস্তবতা মেনে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের চেনা মাঠেই লড়াইয়ের প্রত্যয় দেখান নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।

আগামী রোববার পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত আট জাতির এই টুর্নামেন্টের শিরোপার জন্য মুখোমুখি হবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে স্বাগতিক পাকিস্তানে সফর না করায় রোহিত শর্মার দল তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এই মাঠেই নিউজিল্যান্ডকে ৪৪ রানে হারানোর সুখ স্মৃতিও রয়েছে তাদের।

বুধবার লাহোরে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দুবাই ফিরেছে নিউজিল্যান্ড। দুবাইয়ে পৌঁছে ভ্রমণ ধকল নিয়ে স্যান্টনার বলেন, 'এটাও চ্যালেঞ্জের একটা অংশ। আমরা পাকিস্তান ও দুবাই মিলিয়ে বিভিন্ন কন্ডিশনে খেলেছি। তবে ছেলেরা বুঝতে পেরেছে, এটাই এখন বাস্তবতা।'

তবে ফাইনাল ম্যাচ বলেই লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছেন কিউই অধিনায়ক, 'ফাইনাল ম্যাচ সবসময়ই ভিন্ন ধরনের হয়, তবে আমাদের জন্য এখন পর্যন্ত যা কাজ করেছে, সেটাই ধরে রাখতে হবে। আমরা এমন এক শক্তিশালী দলের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি, যারা দুবাইয়ে সব ম্যাচ খেলেছে এবং এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে ভালোভাবে জানে।

'তবে তাদের বিপক্ষে আগের ম্যাচ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। পরিস্থিতি কেমন হবে, তার ওপর আমাদের খেলার কৌশল নির্ভর করবে। লাহোরের তুলনায় পিচ এখানে ধীরগতির হবে, হয়তো কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হবে,' বলেন স্যান্টনার।

টুর্নামেন্টের জটিল সূচি নিয়ে এবার অনেক বিতর্কই হয়েছে, কারণ ভারত তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেললেও অন্য দলগুলো পাকিস্তানের চার ভেন্যু ও আমিরাতের মধ্যে যাতায়াত করেছে। কন্ডিশন সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে পাকিস্তানের উইকেটগুলো বড় রান তুলতে সাহায্য করেছে, হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির রেকর্ডও। অন্যদিকে, দুবাইয়ের উইকেট ছিল ধীরগতির ও স্পিন সহায়ক।

টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতেছিল নিউজিল্যান্ড, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকাও ছিল। সেই সিরিজের ফলে দলটির অনেক খেলোয়াড়ই ফর্মের ফিরেছে। বাঁহাতি ব্যাটার রচিন রবীন্দ্র সেমিফাইনালে তার দুটি সেঞ্চুরি করেছেন এবং কেন উইলিয়ামসনও পেয়েছেন একটি।

'ত্রিদেশীয় সিরিজটি খেলোয়াড়দের ফর্মে আসতে সহায়তা করেছে, বিশেষ করে এমন সংক্ষিপ্ত টুর্নামেন্টে যেখানে তিনটি ম্যাচ খেলে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে হয়। আমরা ভালো ছন্দে আছি এবং আশা করি এটা ধরে রাখতে পারব। আমরা এখন এখানে (ফাইনালে) এবং ছেলেরা বড় ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। একদিন অনুশীলন নেই, তবে সবাই রোমাঞ্চিত এবং মূল লড়াইয়ের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে,' বলেন স্যান্টনার।

Comments

The Daily Star  | English

US sends list of items, seeking zero duty

The US has demanded zero duty facility for a large number of its products from Bangladesh.

12h ago