ইয়ামালের সমালোচনা করলেন তত্তি

বার্সেলোনার হয়ে গত মৌসুমে দারুণ খেলেছেন লামিন ইয়ামাল। চলতি মৌসুমে তো রীতিমতো উড়ছেন। মাঝে জাতীয় দলের হয়ে জাদুকরি পারফরম্যান্সে স্পেনকে ইউরো জেতাতে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। পুরো ফুটবল বিশ্বই যেন বুঁদ হয়ে আছে এই তরুণে। সেখানে ইয়ামালের সমালোচনা করলেন ইতালিয়ান কিংবদন্তী ফ্রান্সেসকো তত্তি।

মূলত ইয়ামালের গোল করার দুর্বলতা নিয়ে কথা বলেন তত্তি। পাশাপাশি প্রশংসাও করেছেন। সাবেক রোমা ফরোয়ার্ডের মতে, ইয়ামালের গোল করার সামর্থ্য যথেষ্ট ভালো নয়, কারণ তিনি অক্টোবরের পর থেকে লা লিগায় একটিও গোল করতে পারেননি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার ভিভা লা ফুটবল পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তত্তি বলেন, 'তবুও সে খুব কম গোল করে। সে খুবই শক্তিশালী খেলোয়াড়, ইউরোতে যেন উড়ছিল... সে মনে হচ্ছিল সত্যিই উড়ছে, কিন্তু এরপর একটু পড়ে গেছে। সে দারুণ খেলোয়াড়, কিন্তু এখনো খুব কম গোল করছে।'

লা মাসিয়ার একাডেমি থেকে উঠে আসা ইয়ামাল ২০২৩-২৪ মৌসুমে জাভির অধীনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান, যেখানে তিনি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫০ ম্যাচে ৭টি গোল করেছিলেন। এরপর ইউরো ২০২৪-এ দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য তিনি সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছিলেন।

২০২৪-২৫ মৌসুমে হান্সি ফ্লিকের অধীনে তিনি দুর্দান্ত শুরু করেন, প্রথম ১১টি লা লিগা ম্যাচে ৫টি গোল করেন। তবে এরপর থেকে তার গোলখরা শুরু হয়। শেষবার তিনি লিগে গোল করেছিলেন ২৭ অক্টোবর, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করার ম্যাচে। এরপর থেকে টানা ১২টি লিগ ম্যাচে গোলহীন রয়েছেন।

পুরো পরিসংখ্যানও খুব উন্নত নয় ইয়ামালের। কাতালান ক্লাবটির হয়ে মোট ৮৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ১৮টি গোল। পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করিয়েছেন ২৩টি। আর জাতীয় দলের হয়ে ১৭ ম্যাচে ৩ গোল করেছেন। আর করিয়েছেন ৮টি। 

আগামীকাল বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে বেনফিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা, যেখানে ইয়ামালকে আবারও অ্যাকশনে দেখা যাবে। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিমধ্যেই তার দুইটি গোল রয়েছে। সবশেষ জানুয়ারির শেষ দিকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে জালে বল পাঠান এই তরুণ।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago