আদালতের পর্যবেক্ষণ: নাইকো চুক্তির সময় খালেদা জিয়ার অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না

খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

কানাডীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে সরকারের চুক্তির সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট আসামির কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।  

২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়া এবং অন্য সাতজনকে খালাস দিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেন।

২০০৭ সালের ডিসেম্বরে একই দিনে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

আদালত বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাটি বাতিল করা হলেও পুরো আওয়ামী লীগ আমলে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা চলে।

আদালের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়, তদন্তকালে ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং মামলার আসামি সেলিম ভূঁইয়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন, তবে তার এই জবানবন্দি 'জোরপূর্বক' নেওয়া হয়েছিল কারণ তাকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার আগে চার দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছিল।

আদালত পর্যবেক্ষণে জানায়, তাই সেফিল ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি স্বেচ্ছায় ছিল না।

আদালত উল্লেখ করেন রিমান্ড চলাকালীন সেলিমকে নির্যাতন করা হয়েছিল এবং তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।

২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের চুক্তি দেওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে দুদক মামলাটি দায়ের করেছিল।

Comments

The Daily Star  | English
Tariffs

Economic lessons from the tariff war

Our understanding of tariffs might not be complete.

9h ago