পুলিশের লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ ম্যাটস শিক্ষার্থীদের লংমার্চ

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

শূন্যপদে নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে অভিমুখে লংমার্চ ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

আজ রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ম্যাটস শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে বৈঠক করছিল। সেই সময় শাহবাগ থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। পথে শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে তারা সড়কের একপাশে পুলিশের ব্যারিকেড দেখে অপর পাশে চলে যায়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক মো. সাকিব মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

এর আগে বিকেল ৩টার পর শাহবাগ থেকে শিক্ষার্থীদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে নিয়ে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আজহারুল হক রামিম, মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহমদ উল্লাহ মানসুর ও শামীম মিঞা।

তুহিন ফারাবী শিক্ষার্থীদের বলেন, উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের বিষয়ে আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সার্কুলার হবে। আপনাদের দাবির বিষয়ে কথা বলতে একটি প্রতিনিধি দলকে আমি নিয়ে যেতে এসেছি।

সকাল ১১টার দিকে শাহবাগে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী লংমার্চ করে এসে সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় টিএসসি থেকে শাহবাগে আসার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রায় ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে তাদের কোনো সরকারি চাকরিতে নিয়োগ নাই। সেই সঙ্গে তাদের উচ্চ শিক্ষারও কোনো সুযোগ নেই। অন্যান্য চাকরিতে পদোন্নতির সুযোগ থাকলেও তাদের তা নেই।

তারা বলছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতির সাত কর্মদিবস শেষ হওয়ার পরও দাবি পূরণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

20h ago