‘টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বিশ্বাস সব সময় ছিলো’

mahidul islam ankon

দেশের ক্রিকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের পরিচিতি আগে ছিলো ভিন্ন। কিছুটা সময় নিয়ে থিতু হয়ে রান করায় টি-টোয়েন্টিতে তার তেমন কদর ছিলো না। তবে এবার বিপিএলে নিজেকে আমূল বদলে নিয়ে নামলেন ডানহাতি ব্যাটার। খুলনা টাইগার্সের হয়ে ১২ ম্যাচে ৩১৬ রান করেছেন ১৭৪.৫৮ স্ট্রাইকরেটে। বিপিএলে ৩০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে তার স্ট্রাইকরেটই সর্বোচ্চ। অঙ্কনের তার বদলে যাওয়ার গল্প আর আগামীর পরিকল্পনা জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারকে।

বিপিএলে এবার ভিন্ন অঙ্কনকে দেখা গেল। এই পরিবর্তন কীভাবে হলো?

মহিদুল ইসলাম অঙ্কন: আগের বিপিএলগুলোতে আমি খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। কিন্তু অবচেতনে সবসময় ভাবতাম কীভাবে আমি আমার শটগুলো বানাতে পারি, কীভাবে আমি ছয় বা সাত নম্বরে ব্যাট করে প্রভাব ফেলতে পারি। মৌসুম শুরু হওয়ার আগে যখন ম্যানেজমেন্ট আমাকে আমার ব্যাটিং পজিশনের কথা বলল, তখন জিনিসগুলো আমার জন্য খুব সহজ ও স্পষ্ট হয়ে গেল। আমি মাঝখানে আমার পরিকল্পনাগুলো কার্যকর করার চেষ্টা করেছি এবং আমি যা করেছি, তাতে আমি খুশি।

গত কয়েক আসরে আপনি বেশিরভাগ সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বেঞ্চে বসে ছিলেন। আগে বেশি সুযোগ না পাওয়ায় কি নিজেকে দুর্ভাগা মনে হয়?

অঙ্কন: আমি সবসময় বিশ্বাস করতাম যে আমি ভালো করতে পারব, আমার সেই আত্মবিশ্বাস ছিল। দলের সমন্বয়ের কারণে আপনি কম ম্যাচ খেলতে পারেন। সেই সময় আমি প্রতিদিন নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করেছি এবং খুব বেশি চিন্তা করিনি। আমার সবসময় বিশ্বাস ছিল যে যখনই সুযোগ পাব, টি-টোয়েন্টিতে সত্যিই ভালো করতে পারব।

mahidul islam ankon
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

গত বছর চট্টগ্রামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে আপনার জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাদা বলের ফরম্যাটে খেলা হয়নি। আপনি নিজেকে কীভাবে দেখেন, একজন টেস্ট বিশেষজ্ঞ নাকি এমন একজন যিনি প্রতিটি ফরম্যাটে পারদর্শী হতে পারেন?

অঙ্কন: আমি খুব গর্বিত বোধ করি যে আমি প্রথমে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছি। আমাদের দেশে সাদা বলের ক্রিকেটকে বেশি মূল্য দেওয়া হয় কিন্তু অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশে টেস্টকে চূড়ান্ত শিখর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি বিশ্বাস করি আমি তিন ফরম্যাটেই খেলতে পারি। যেহেতু টেস্টে অভিষেক করেছি, আমি এই ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়ার আশা করি। এবং যখনই আমি সাদা বলের ক্রিকেটে সুযোগ পাব আমি সেখানেও ভালো পারফর্ম করার আশা রাখি।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রয়েছে। থিতু হওয়া নিশ্চয়ই কঠিন, তাই না?

অঙ্কন: আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। আমার মনে হয় অন্যান্য বিভাগেও একই ধরনের প্রতিযোগিতা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করার জন্য আমাদের দলে আরও বেশি প্রতিযোগিতা দরকার। এই ধরনের প্রতিযোগিতার কারণে সবসময় অনুভব করি যে পারফর্ম করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। আমি যদি পারফর্ম করতে পারি, তাহলে আল্লাহ বাকিটা দেখবেন।

আপনি কি নিজেকে সাদা বলের ফরম্যাটে ফিনিশার হিসেবে দেখেন নাকি অন্য পজিশনে ব্যাট করতে চান?

অঙ্কন: ব্যক্তিগতভাবে ব্যাটিং পজিশন আমার কাছে কোনো ব্যাপার না। ছোটবেলা থেকেই আমি বিভিন্ন পজিশনে ব্যাট করতে অভ্যস্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে  টপ-অর্ডারে ব্যাট করি, যেখানে বিপিএলে নিচের দিকে ব্যাট করেছি। ব্যাটিং পজিশন নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।

আপনার পরবর্তী লক্ষ্য কী?

অঙ্কন: আমি সবসময় যেখানেই খেলি ভালো পারফর্ম করার চেষ্টা করি। দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। সবসময় আমার প্রক্রিয়া বজায় রাখার চেষ্টা করি এবং আরও ভালো পারফর্ম করার জন্য নিজেকে ফিট রাখি। আমি সেদিকে বেশি মনোযোগ দিই এবং সবসময় বিশ্বাস করি যে একদিন আমি তিন ফরম্যাটেই ভালো করতে পারব।

Comments

The Daily Star  | English
Titumir College protest

Why do we need so many universities?

Merely converting colleges that lack high education quality into universities will not resolve issues in the education sector.

9h ago